ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২

২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট শুরু হয় । দক্ষিন এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের ১২০ তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট জগতে প্রবেশ করে । ই পাসপোর্ট করার নিয়ম না জেনে পাসপোর্ট করতে গিয়ে অনেকেই দালালদের খপ্পরে পড়ে । ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নিয়ে কোন রকম দালালদের দালালি ছাড়াই আপনি নিজের পাসপোর্ট নিজে করে নিতে পারবেন । কথা দিচ্ছি আজকের আর্টিকেল ভালো ভাবে পড়লে আপনি পুরোপুরি ভাবে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জানতে পারবেন । যার ফলে পাসপোর্ট করতে গিয়ে আপনাকে কোন রকম দালালের সরনাপন্ন হতে হবে না । 

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট করার ৫ টি ধাপ যেমন : ১. আপনার বর্তমানে বসবাসরত এলাকায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে কিনা দেখে নিতে হবে । ২. সঠিক ভাবে অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করা । ৩. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করা । ৪. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা । ৫. পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ । এই ধাপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে আপনি কোন রকম দালাল ছাড়াই ই পাসপোর্ট  করতে পারবেন ।

এ আর্টিকেলে আপনার যে অংশ জানার প্রয়োজন সেখানে ক্লিক করে জেনে নিন ।

ই পাসপোর্ট কি

ই পাসপোর্টের পূর্ণরূপ হলো ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট । ই পাসপোর্ট হলো এমন একটি পাসপোর্ট যাতে ইলেকট্রনিক মাইক্রো চিপ লাগানো থাকে । এই মাইক্রো চিপ এর মধ্যে পাসপোর্ট গ্রাহকের ৩ ধরণের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশের তথ্য থাকে । যেহেতু মাইক্রো চিপের তথ্য অপরিবর্তনীয় তাই চাইলেই কেউ  ই পাসপোর্ট এর তথ্য পরিবর্তন করতে পারবে না ।ফলে যে কোন দেশের কর্তৃপক্ষ সহজে এবং সঠিক ভাবে ভ্রমণকারীর তথ্য জানতে পারবে । এটি অত্যন্ত নিরাপদ একটি ব্যবস্থা যার ফলে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ  ই পাসপোর্ট ব্যবহারের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ।

এমআরপি এবং ই পাসপোর্ট এর মধ্যে পার্থক্য

বর্তমানে প্রচলিত পাসপোর্টকে বলা হয় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট সংক্ষেপে এমআরপি । এমআরপি এবং ই পাসপোর্ট এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য প্রযুক্তির ব্যবহার গত পার্থক্য । ই পাসপোর্ট এবং প্রচলিত পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য অনেকটা এটিএম কার্ড এবং ব্যাংক চেকের মতো । ব্যাংক চেকের গায়ে ব্যাংক একাউন্টের তথ্য প্রিন্ট করা থাকে কিন্তু এটিএম কার্ডে একাউন্টের তথ্য একটি মাইক্রো চিপে থাকে ।

একই ভাবে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্টে বাহকের তথ্য প্রথম দুই পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করা থাকে কিন্তু ই পাসপোর্টে বাহকের তথ্য একটি মাইক্রো চিপে থাকে । ই পাসপোর্ট দেখতে অনেকটা এমআরপি পাসপোর্টের মতো মনে হলেও এটির ভিতরে ব্যবহৃত চিপটই এমআরপি পাসপোর্টের সাথে এটির পার্থক্য সৃষ্টি করেছে । বর্তমানে বাংলাদেশে শুরু হওয়া স্মার্টকার্ডে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে সেই একই ধরণের প্রযুক্তি ই পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । 

আরো পড়তে পারেন

ই পাসপোর্ট এর সুবিধা

প্রচলিত মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে সহজে তথ্য পরিবর্তন করা যেত । যাকে প্রচলিত ভাষায় বলা হয় গলাকাটা পাসপোর্ট । এই গলাকাটা পাসপোর্ট এর মাধ্যমে মানব পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হতো । যেহেতু চাইলেই ই পাসপোর্ট এর তথ্য পরিবর্তন করা সম্ভব নয় তাই ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে মানব পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে ।

এছাড়াও একজন ভ্রমণকারী যখন ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে যাতায়ত করবে তখন তার তথ্য সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্যাগার (পাবলিক কি ডাইরেক্টরি-পিকেডি) - এ এসে যুক্ত হবে । যার ফলে যে কোন দেশ তার নাগরিক কোন দেশে আছে তা জানতে পারবে এবং উক্ত নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে । 

ই পাসপোর্ট ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ইমিগ্রেশন ক্ষেত্রে । ই পাসপোর্ট বহনকারী ব্যক্তিকে ভিসা চেকিং লাইনে দাড়াতে হবে না । ই পাসপোর্ট বহনকারীরা ই গেটের মাধ্যমে তাদের ইমিগ্রেশন এর সার্বিক কাজ সম্পন্ন করবে । ই গেটের নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে নিবে এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাই করার ব্যবস্থা থাকবে । কোন গরমিল হলে লাল বাতি জ্বলে উঠবে । ৩৮ টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকায় ই পাসপোর্ট জাল করা সম্ভব নয় । যার কারণে বলা হয়ে থাকে এটি খুবই সুরক্ষিত একটি পাসপোর্ট ব্যবস্থা ।

ই পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে

বর্তমানে ৭০ টি পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে । নিচে সেগুলোর তালিকা দেওয়া হলো :

১। আগারগাওঁ    ২। যাত্রাবাড়ি    ৩। উত্তরা    ৪। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট    ৫। বাংলাদেশ সচিবালয় ৬। গাজীপুর    ৭। মনছুরাবাদ     ৮। ময়মনসিংহ    ৯। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    ১০। গাইবান্ধা    ১১। গোপালগঞ্জ    ১২। মানিকগঞ্জ     ১৩। নরসিংদী    ১৪।নোয়াখালী      ১৫। ফেনী  ১৬। চাঁদগাওঁ      ১৭। কুমিল্লা      ১৮। মুন্সিগঞ্জ    ১৯। সিলেট     ২০। মৌল্ভিবাজার     ২১। সুনামগঞ্জ     ২২। হবিগঞ্জ      ২৩। যশোর       ২৪। খুলনা      ২৫। কুষ্টিয়া     ২৬। বি-বাড়িয়া      ২৭। রাজশাহী      ২৮। চাপাইনবাবগঞ্জ     ২৯। বগুড়া     ৩০। রংপুর     ৩১। দিনাজপুর    ৩২। নওগাঁ      ৩৩। জয়পুরহাট     ৩৪। বরিশাল    ৩৫। পটুয়াখালি     ৩৬। পাবনা     ৩৭। সিরাজগঞ্জ      ৩৮। কিশোরগঞ্জ      ৩৯। নাটোর       ৪০। মাগুরা        ৪১। নড়াইল         ৪২। লক্ষ্মীপূর       ৪৩। টাঙ্গাইল         ৪৪। জামালপুর          ৪৫। শেরপুর        ৪৬। নেত্রকোনা      ৪৭। মাদারীপুর        ৪৮। ফরিদপুর       ৪৯। রাজবাড়ি        ৫০। ঝিনাইদহ           ৫১। সাতক্ষীরা  ৫২। বাগেরহাট         ৫৩। ভোলা       ৫৪। বরগুনা        ৫৫। চুয়াডাঙ্গা       ৫৬। ঝালকাঠি        ৫৭। কুড়িগ্রাম        ৫৮। লালমনিরহাট       ৫৯। মেহেরপুর     ৬০। নীলফামারী      ৬১। পঞ্চগড়     ৬২। পিরোজপুর       ৬৩। শরিয়তপুর       ৬৪। ঠাকুরগাঁও       ৬৫। বান্দরবান        ৬৬। চাঁদপুর       ৬৭। কক্সবাজার        ৬৮। খাগড়াছড়ি        ৬৯। নারায়নগঞ্জ       ৭০। রাঙামাটি । আরো জানতে দেখুন

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

১. ই পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ করতে হবে ।

২. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন লাগবে । 

৩. ১৮ বছরের কম হলে আবেদনকারীর পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার লাগবে।

৪. তবে ২০ বছরের উর্ধ্বে হলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে ।

৫. প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদির সনদ সংযোজন করতে হবে ।

৬. প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।

৭. অতি জরুরি পাসপোর্টের জন্য নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে । 

৮. পাসপোর্ট রি - ইস্যু ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট দেখাতে হবে ।

৯. ই পাসপোর্ট এর জন্য নিজের একটি ইমেল থাকা ভালো । তবে অন্যের ইমেল দিয়েও ই পাসপোর্ট তৈরি করা যাবে ।  আরো জানতে দেখুন

আরো পড়তে পারেন

ই পাসপোর্ট ফি বা ই পাসপোর্ট করার খরচ

সাধারণত পাসপোর্টের ধরণ অনুযায়ী খরচের ভিন্নতা হয় । বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৫% ভ্যাটসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাসপোর্টের খরচ উল্লেখ করা হলো

>> ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার 

১. রেগুলার পাসপোর্ট খরচ ৪,০২৫ টাকা যা ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

২.  জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ৬,৩২৫ টাকা যা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে

৩. অতীব জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ৮,৬২৫ টাকা যা দুই কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

>> ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার

১. রেগুলার পাসপোর্ট খরচ ৫,৭৫০ টাকা যা ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

২. জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ৮,০৫০ টাকা যা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে 

৩. অতীব জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ১০,৩৫০ টাকা যা দুই কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

>> ৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার

১. রেগুলার পাসপোর্ট খরচ ৬,৩২৫ টাকা যা ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

২. জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ৮,৬২৫ টাকা যা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে

৩. অতীব জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ১২,০৭৫ টাকা যা দুই কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে 

>>   ১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠার

১. রেগুলার পাসপোর্ট খরচ ৮,০৫০ টাকা যা ২১ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।

২. জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ১০,৩৫০ টাকা যা ১০ কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে

৩. অতীব জরুরী বিতরণের পাসপোর্টের খরচ ১৩,৮০০ টাকা যা দুই কার্য দিবসের মধ্যে পাওয়া যাবে ।আরো জানতে দেখুন

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট করতে হলে ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে ১টি ইমেল সহ কিছু সাধারণ তথ্য দিয়ে একটি একাউন্ট খুলে নিতে হবে । এই একাউন্টটি ভেরিফাই করার জন্য ইমেলে একটি ভেরিফিকেশন মেসেজ যাবে । ইমেলে যাওয়া মেসেজটি থেকে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে । তারপর ইমেল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্টে লগিন করে  সেখানে থাকা আবেদন ফরম আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী পূরণ করুন ।

জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী পূরণ করুণ । তবে বয়স ২০ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয় পত্র আবশ্যক । আর্থ্যাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র ছাড়া ই পাসপোর্টের আবেদন করা যাবে না । ১৮ বছরের কম হলে ই পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার লাগবে । ই পাসপোর্ট ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করে নিচের ধাপগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করে নিন ।

১. Passport Type : এ ধাপে আপনি কোন ধরনের পাসপোর্ট করতে চান তা উল্লেখ করুণ । যেমন : রেগুলার পাসপোর্ট , জরুরী বিতরণের পাসপোর্ট, অতীব জরুরী বিতরণের পাসপোর্ট

২. Personal Information : এ ধাপে এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্য পূরণ করুণ ।

৩. Address : এ ধাপে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিন তবে মনে রাখবেন স্থায়ী ঠিকানা NID অনুযায়ী দিতে হবে ।

৪. ID Documents : এ ধাপে NID এর তথ্য দিবেন । এবং NID স্কেন করে ফটো দিতে হয় ।

৫. Parental information : এ ধাপে পিতা মাতার তথ্য দিতে হবে । তাদের NID অনুযায়ী তথ্য প্রদান করুণ ।

৬. Spouse Information : এ ধাপে আপনার স্বামী/স্ত্রীর তথ্য প্রদান করুণ । 

৭. Emergency contact : এ ধাপে ফোন নম্বর সহ যোগাযোগের জন্য আরো কিছু তথ্য প্রদান করতে হয় । তবে শুধু মোবাইল নম্বরটি দিলেই হবে ।

৮. Passport options : এ ধাপে পাসপোর্ট ওপশন বাচাই করে নিন ।

৯. Delivery Options & Appointment :

উপরোক্ত তথ্য দিয়ে অনলাইনে ফরম ফিলাপ করতে হবে । তারপর পেমেন্ট অপশন আসবে সেখান থেকে নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করতে হবে ।এবার ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রসহ সংশ্লষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে

আরো পড়তে পারেন

ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম

ই পাসপোর্ট ফি দুই ভাবে প্রদান করা যায়

১. অনলাইনে :

(ক) কার্ড(মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেস, ডিবিবিএল নেক্সাস), 

(খ) মোবাইল ব্যাংকিং(নগদ, বিকাশ, রকেট, ওকে ওয়ালেট, ইউপে), 

(গ) ইন্টারনেট ব্যাংকিং(ব্যাংক এশিয়া), 

(ঘ) ওয়ালেটস(ডিমানি, ইউপে) ইত্যাদির মাধ্যমে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যায় । 

২. অফলাইনে :

চালানের মাধ্যমে দেশের যে কোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকে ই পাসপোর্ট ফি প্রদান করা যায় ।

ই পাসপোর্ট ছবি এবং ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

১। আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ) 

২। সনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নং) 

৩। পেমেন্ট স্লিপ 

৪। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি (যদি থাকে) 

৫। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে GO/NOC (যদি থাকে) 

৬। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র(যদি থাকে) 

৭। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি(ঐচ্ছিক )

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট চেক করার জন্য Online Registration ID OR Application ID ব্যবহার করতে হবে তার জন্য ই পাসপোর্ট চেক করার ওয়েব সাইটে প্রবেশ করুন । সেখানে থাকা ফরমে Online Registration ID OR Application ID এবং জন্ম তারিখ ব্যবহার করে ই পাসপোর্ট চেক করে নিন।

পাসপোর্ট সংগ্রহ

পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য মোবাইলের মেসেজ পাওয়া সাপেক্ষে ডেলিভারি স্লিপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সহ সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে । এছাড়াও আরো তথ্যের জন্য দেখুন

আশা করি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়ছেন । এছাড়াও কোন রকম তথ্য প্রয়োজন হলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানতে পারেন ।

আজ এ পর্যন্ত ভালো থাকবেন । সুস্থ্য থাকবেন । অন্বেষা.নেট এর সাথে থাকবেন ।

আরো পড়তে পারেন

জুয়েল

আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। আসুন আমরা প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন জয়ের সারথি হই

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন