মেটাভার্স কি এবং কেন জানুন বিস্তারিত

মেটাভার্স
মেটাভার্স কি এবং কেন
মেটাভার্সকে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আগামীর ইন্টারনেট বলে থাকেন । তাই ভবিষ্যতের এই প্রযুক্তি থেকে নিজেকে পিছিয়ে রাখতে না চাইলে অবশ্য এর সমন্ধে আপনার জানা উচিৎ । বিভিন্ন বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে তথ্য নিয়ে মেটাভার্স সম্পর্কে অন্বেষা.নেট এর আজকের আয়োজন মেটাভার্স কি এবং কেন

মেটাভার্স (Metaverse) অর্থ কি?

মেটাভার্স দুটি শব্দের সমন্বয়ে তৈরি । একটি হলো Meta ইংরেজী ভাষায় মেটা শব্দিটি একটি উপসর্গ (prefix) যা অন্য শব্দের পূর্বে বসে নতুন অর্থ পূর্ণ শব্দ তৈরি করে । গ্রিক ভাষায় মেটা শব্দের অর্থ গন্ডির বাইরে বা প্রচলিত রীতিকে অতিক্রম করা । আর অন্য শব্দটি হলো verse  যার অর্থ বিশ্ব । অর্থ্যাৎ  মেটাভার্স (Metaverse)অর্থ হলো প্রচলিত বিশ্বের বাইরের বিশ্ব । 

১৯৯৯ সালে প্রকাশিত আমেরিকান লেখক নিল স্টিফেনসন রচিত সায়েন্স ফিকশন স্নো ক্রাশ এ সর্বপ্রথম মেটাভার্স শব্দটি ব্যবহার করা হয় ।

মেটাভার্স (Metaverseকি?

মনে করুন আপনার বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে ফেসবুকে একটি সেলফি আপলোড করেছে । ফেসবুক দেখার সময় মেটাভার্স প্রযুক্তির কল্যানে আপনি সেখানে না গিয়েও সে জায়গায় থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পারবেন । অথবা ধরুণ আপনার বন্ধু নিউইয়ার্কে আছে আপনি বাংলাদেশে । এখন আপনার বন্ধুর সাথে মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করার সময় মেটাভার্স প্রযুক্তি আপনাকে সেখানে থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা দিবে ।
মেটাভার্স আপনার কাছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মতো কিছু একটা মনে হতে পারে । কিন্তু এটি আসলে তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি । প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সঙ্গে মেটাভার্স  এর তুলনা অনেকটা আজকের দিনের স্মর্টফোনের সঙ্গে আশির দশকের মোবাইল ফোনের তুলনা করার মতো । 

মেটাভার্স হলো ইন্টারনেটে প্রান প্রতিষ্ঠা করা । মেটাভার্সের মাধ্যমে ইন্টারনেটে আপনি আপনার একটি থ্রিডি চরিত্র সৃষ্টি করতে পারবেন । যা আপনার মতোই আপনার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবে, ঘুরে বেড়াবে । 

মেটাভার্স হলো এমন প্রযুক্তি যা আপনার বাস্তবতার সাথে ভার্চুয়াল বিশ্বকে একিভূত করে দিবে । মেটাভার্স একটি ভার্চয়াল বিশ্ব যেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে একজন ব্যাক্তি নিজেকে যুক্ত করতে পারবে । যেখানে সে কোন একটি কাজে শারীরিক ভাবে অনুপস্থিত থেকেও বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করবে ।

মেটাভার্স প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে?

মেটাভার্স প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভি.আর) হেডসেট, অগমেন্টেড রিয়েলিটি চশমা, স্মার্টফোন আ্যাপ, বা অন্য কোন ডিভাইস লাগবে যার মাধ্যমে আপনি মেটাভার্স দুনিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন । এসকল প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি আপনার বাস্তব জগতের একটি ভার্চুয়াল 3D মডেল তৈরি করতে পারবেন । 

মেটাভার্স
এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনি আপনার বাস্তব জগতের একটি ভার্চুয়াল 3D মডেল তৈরি করতে পারবেন ।

যার ফলে কোন জায়গায় আপনি শারীরিক ভাবে অনুপস্থিত থেকেও উপস্থিত থাকার বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন ।
মেটাভার্সের কারণে ইন্টারনেটের জগতকে মনে হবে বাস্তব জগত যেখানে মানুষের যোগাযোগ হবে বহুমাত্রিক । প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজেটাল ভিজুয়াল উপকরণ যেমন: শব্দ ও অন্যান্য শারীরিক সংবেদনশীল উদ্দীপনা ব্যবহার করে মেটাভার্স অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব । 
               
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন মেটাভার্স দুনিয়ার কোন সীমা পরিসীমা থাকবে না । বলা হয়ে থাকে পড়াশুনা করা, আড্ডা দেওয়া, সিনেমা দেখা, গান গাওয়া, খেলাধূলা করা, বেড়াতে যাওয়া, কেনা কাটা করা, কর্মস্থলে যোগ দেওয়া এমনি দৈনিন্দিন সব কিছু মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে । 
শুনলে অবাক হবেন আপনার মৃত্যর পর আপনার সন্তান আপনার সাথে কথা বলতে চাইল, সময় কাটাতে চাইলে সেটাও মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যেম সম্ভব হবে । এই যে আপনি প্রতিদিন দীর্ঘ সময় অনলাইনে ব্যয় করছেন আপনার আচরন রিয়েল টাইমে গুগল ফেসবুক সংরক্ষণ করে রাখছে । 
আপনার মৃত্যুর পর আপনার সন্তান যখন আপনার কথা স্মরণ করবে তখনই গুগল, ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো আপনার রিয়েল টাইমের এক্টিভিটির উপর নির্ভর করে আপনার আচরণ, বক্তব্য বিশ্লেষন করে আপনার কণ্ঠে আপার ছেলের প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করবে ।

মেটাভার্সের ভবিষ্যৎ কি ?

আজকের যুগে ভিডিও কল স্মার্টফোনের একটি সাধারণ ফিচার । কিন্তু বেশি দিন আগে নয় আশির দশকেও মোবাইল ফোনে ভিডিও কল অবিশ্বাস্য মনে হতো । ঠিক এখন মেটাভার্স প্রযুক্তি অবিশ্বাস্য মনে হলেও মেটাভার্সই হলো আগামীর প্রযুক্তি । আগামীর ইন্টারনেট । জাকারবার্গের মতে, মেটাভার্সের মাধ্যমে যোগাযোগ, উদ্ভাবনসহ সব ধরণের কাজ করতে পারবে মানুষ । আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ১০০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে এ প্রযুক্তি ।                                                                                            
মেটাভার্স প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য সম্প্রতি ফেসবুক ইউরোপে ১০ হ্জার কর্মী নিয়োগ করেছে । বিনিয়োগ করেছে প্রচুর অর্থ । বিনিয়োগ করেছে প্রচুর অর্থ । মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল, রোব্লক্স, ও এপিক গেমস কোম্পানির মতো বড় বড় কোম্পানিগুলো মেটাভার্স প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য বিনিয়োগ করেছে প্রচুর অর্থ । 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমসের ব্যপক উন্নতির ফলে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মেটাভার্সে প্রযক্তি আবিষ্কারের কাছাকাছি চলে এসেছে । যেহেতু মেটাভার্সই হলো আগামীর প্রযুক্তি তাই কেউ চাচ্ছে না এ প্রযুক্তি আবিষ্কারের দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে ।

গত ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর ফেসবুক ইনকরপোরেশন নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মেটা । ফেসবুক মেটাভার্স প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য ২০১৪ সালে অকুয়াস ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট ডিভাইস সংস্থাকে ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে অধিগ্রহণ করে ।

মেটাভার্স ফেসবুক

জাকারবার্গ মনে করেন মেটাভার্স হলো আগামীর প্রযুক্তি । তাই আগামীতে ফেসবুক  সোশ্যাল মিডিয়া নয় নিজেদেরকে পরিচিত করতে চায় মেটাভার্স প্রযুক্তি হিসেবে । তবে ভয়ের কিছু নেই এখন যেরকম ভাবে আ্যপসে বা ব্রাউজারে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন আগামীতেও এরকম ব্যবস্থা থাকবে । 
এজন্যই জাকারবার্গ মেটাভার্সকে ফেসবুকের বাইরে গিয়ে আলাদা ভাবে পরিচয় করেছেন । তবে আপনার ফেসবুক আইডি থাকলে মেটাভার্সের ক্ষেত্রে হয়তো আলাদা কিছু সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন । তবে আপনি চাইলে মেটাভার্সের জটিলতা এড়িয়ে গিয়ে আগের মতোই ফেসবুকের ফিচারগুলো ব্যবহার করতে পারবেন । 

তবে অনেক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ফেসবুকের এরকম নাম পরিবর্তন করার পেছনে অন্য একটি কারণ বর্ননা করেছেন । কানাডা ভিত্তিক প্রযুক্তি বিষয়ক  অনলাইন পোর্টাল গত ২৭ অক্টোবর 'সেয়িং বাই টু ফেসবুক: হোয়াই কোম্পানিজ চেঞ্জ দেয়ার নেম' নামক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ফেসবুকের নাম পরিবর্ত করার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্রান্ডটির বিভিন্ন কেলেঙ্কারি ও কেলেঙ্কারির ফলে বিশ্বজুড়ে তৈরি নেতিবাচক প্রভাব । 
হুইসেল বোয়িং কেলেঙ্কারি এবং সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের এক প্রাক্তনকর্মী বেশ কিছু সেনসেটিভ তথ্য ফাঁস করে দিলে ইউরোপ আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুকের বিরুদ্ধে এন্টি-ট্রাস্ট অভিযোগ আনা হয় । 
যার ফলে ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলানায় ফেসবুক এখন খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে । হয়তোবা এ ধরণের নেতিবাচক খবর থেকে দৃষ্টি ফেরানের জন্য ফেসবুক নিজেদের নাম পরিবর্তন করে থাকতে পারে ।
২০১৫ সালে গুগল ও নিজেদের মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে অ্যালফাবেট রাখে ।

মেটাভার্স কোম্পানি

মনে রাখতে হবে মেটাভার্স শুধু মাত্র শুধুমাত্র ফেসবুক এর প্রজেক্ট নয় । আমি আগেই বলেছি মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল, রোব্লক্স, ও এপিক গেমস কোম্পানির মতো বড় বড় কোম্পানিগুলো মেটাভার্স প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য বিনিয়োগ করেছে প্রচুর অর্থ । 

যেহেতু মেটাভার্সকে এক বাক্যে সকল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আগামীর ইন্টারনেট ব্যবস্থা বলে শিকার করছেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেটাভার্স প্রযুক্তির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তাই বিশ্বরে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি গুলো মেটাভার্স প্রযুক্তি আবিষ্কারে এগিয়ে আসছে । মাইক্রোচিফ প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া তাদের মেটাভার্স আবিষ্কার প্রজেক্টের নাম দিয়েছে ওমিনিভার্স ।
ওমিনিভার্স প্রজেক্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড কেরিস বলেন আমরা মনে করি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েভ (WWW) এর মতো মেটাভার্স প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক কোম্পানি নতুন ও অপার্থিব জগত তৈরি করার প্রয়াস পাচ্ছে । এটি মুক্ত ও বর্ধিতকরণ যোগ্য হওয়ায় আপনি মুহুর্তে এত জগত থেকে অন্য জগতে যেতে পারবেন । মেটাভার্স প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও পিছিয়ে নেই । 

আরো পড়তে পারেন

ফেসবুক মেটাভার্স কতটা নিরাপদ?

অনলাইন জগতে এটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন । আপনার রিয়েল টাইম এক্টিভিটি শব্দ ও অন্যান্য শারীরিক সংবেদনশীল উদ্দীপনা ব্যবহার করে মেটাভার্স প্রযুক্তি কাজ করবে । এর জন্য মেটাভার্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার এ সকল তথ্যগুলো তাদের তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষন করে রাখবে । 

এখন তৃতীয় কোন ব্যাক্তি কোন ক্রমে আপনার তথ্যগুলো হাঁতিয়ে নিতে পারলে অবশ্যই আপনার ব্যক্তি গত নিরাপত্তা মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ে যাবে । শুধু তাই নয় ফেসবুকের মতো এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক স্কেন্ডালগুলো সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে নিরাপত্তা নিয়ে অবশ্যই আশঙ্কার কারণ আছে ।

মেটাভার্স
ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার দরকার রয়েছে

ফেসবুক অবশ্য বলেছে তারা ব্যবহারকারীর তথ্য নিরাপদ রাখার ব্যপারে কাজ করবে । তবে অনেকেই তাদের রিয়েল টাইম এক্টিভিটি, ছবি, পোস্ট ইত্যাদি ফেসবুকের কাছে চলে যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় আছেন । নিজেদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কিছু দিন আগে মার্কজাকারবার্গ জানান ''সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিজ্ঞাপন নিয়ে ফেসবুক যে স্ট্রেটেজি অবলম্বন করেছিল মেটাভার্স হিসেবে তারা সে একই স্ট্রেটেজি অবলম্বন করবে ।''
যেহেতু মেটাভার্স সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ এবং সংরক্ষন করবে এবং আপনার এ সকল তথ্য ব্যবহার করে তারা তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করবে তাই ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করার দরকার রয়েছে ।

আরো পড়তে পারেন

মেটাভার্স নিয়ে ফেসবুকের পরিকল্পনা

অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় মেটাভার্স প্রযুক্তির প্রতিযোগীতায়  ফেসবুক কিছুটা এগিয়ে রয়েছে । এ ব্যপারে অন্যদের তুলনায় তাদের উৎসের পরিমান বেশি লক্ষ্য করা যায় ।
মেটাভার্স নিয়ে ফেসবুক সাম্প্রতিক সময় একাধিক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চলুন এখন সেগুলো সম্পর্কে জেনে আসি । 

হরাইজন হোম

হরাইজন হোম হলো একটি ভার্চুয়াল ঘর । যেখানে মেটাভার্স ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবে । হরাইজন হোমের মাধ্যমে তারা একসাথে আড্ডা দিতে পারবে । ভিডিও দেখতে পারবে । গেম খেলতে পারবে । এমনকি অফিসের কাজগুলো হরাইজন হোমের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে । 

ফিটনেস

ইতোমধ্যে অনেকেই  ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভি.আর) প্রযুক্তি ব্যবহার করে শারীরিক ব্যায়াম করে থাকে । আগামী বছর নতুন এক্সেসরিজ (Exercise) প্রযুক্তি আনবে ফেসবুক যার মাধ্যমে আরো উন্নত পর্যায়ে আমরা আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানতে পারবো। 

ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস

করোনা মহামারির কারনে গত ২ বছর প্রায় সমগ্র পৃথিবী থেমে গিয়েছিল । ওই সময় একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস এর অভাব মানুষ তীব্রভাবে অনুভব করে । যাতে এ ধরেনের মহামারিসহ যে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলিয়ে মানুষ তার কর্মসংস্থান নিরাপদ রাখতে পারে । ফেসবুকের এ ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস এর মাধ্যমে যে কোন ব্যাক্তি সরাসরি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে অফিসের কাজ গুলো সম্পন্ন করতে পারবে । ভার্চুয়াল ওয়ার্কপ্লেস এ ফেসবুকের একাউন্ট ছাড়া আলাদা প্রফেশনাল একাউন্টের মাধ্যমে লগিন করে কাজ করা যাবে । 

গেমিং

মেটাভার্সের বিশাল একটি অংশ হচ্ছে গেমিং । যদিও ইতোমধ্যে বিভিন্ন গেমিং ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভি.আর) প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে । তবে আমি আগেই বলেছি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভি.আর) এবং মেটাভার্সে প্রযুক্তি এক নয় । এটির তুলনা আশির দশকের মোবাইল ফোন গুলোর সাথে বর্তমানের স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে তুলনার মতো । 

ভিআর মেসেঞ্জার কল

মেসেঞ্জার আ্যপে অনেক আগেই ভিআর প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষনা দিয়েছে ফেসবুক । ভিআর হেডসেট ব্যবহার ব্যবহার কারী শুধু টেক্সট বা ছবি আদান প্রদান নয় বরং অন্য ব্যাক্তির সাথে ভার্চয়াল ভাবে উপস্থিত হয়ে সরাসরি যোগাযোগের অনুভূতি ফিল করতে পারবে ।               
শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক ফেসবুক এর মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য রিয়েলিটি ল্যাব এমন একটি গ্লাভস আবিষ্কার করেছে যা ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারী সরাসরি ভার্চুয়াল বস্তু ধরার অনুভুতি ফিল করবে । এমনকি এটির মাধ্যমে ভার্চুয়াল ভাবে হ্যান্ডশেক করতে পারবে যা তাকে সত্যিকার হ্যান্ডশেকের আনুভূতি প্রদান করবে ।একই সাথে ভিআর প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ব্যবহারকারী বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার অনুভূতি পাবে ।

জুয়েল

আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। আসুন আমরা প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন জয়ের সারথি হই

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন