আধুনিক কালে প্রতিবেদন একটি বহুল ব্যবহৃত শব্দ। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, সংবাদপত্রে নানা বিষয় ও ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবেন রচনা করা হচ্ছে। প্রতিবেদন ssc ও hsc শিক্ষার্থীদের বাংলা ২য় পত্রের সিলেবাসের অন্তর্ভূক্ত বিষয়। তাই প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানা তাদের জন্য অত্যান্তগুরুত্বপূর্ণ। এর আগের আর্টিকেলে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলে আমরা সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
চিত্র: প্রতিবেদন লেখার একটি নমুনা ছক |
সংবাদ প্রতিবেদন কি?
প্রতিবেদন একটি পারিভাষিক শব্দ। ইংরেজি Report-এর বাংলা পারিভাষিক শব্দ হচ্ছে প্রতিবেদন । কোন ঘটনা বা বিষয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি অনুসন্ধান, সংগ্রহের পর সে সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ বিবরণীই হচ্ছে প্রতিবেদন বা Report. প্রতিবেদনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে অধ্যাপক মাইক হ্যাচ বলেন, “প্রতিবেদন হলো একটি সুসংঘটিত তথ্যগত বিবরণ যা কোন বক্তব্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অথচ সঠিক বর্ণনাবিশেষ।” অর্থাৎ প্রতিবেদনের মধ্যে থাকবে কোন ঘটনা বা বিষয়ের সংক্ষিপ্ত, সহজ, সরল অনুসন্ধানমূলক বর্ণনা । আর প্রত্রিকায় প্রকাশের জন্য যে প্রতিবেদন রচিত হয় তাই হলো সংবাদ প্রতিবেদন।
সংবাদ প্রতিবেদন দুই ধরণের হয়ে থাকে । তাই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানার জন্য আমাদেরকে জানতে হবে সংবাদ প্রতিবেদনের প্রকার সমন্ধে। সংবাদ প্রতিবেদনের প্রকার সমন্ধে ধারণা থাকলে সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানা সহজ হবে।
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
সংবাদ প্রতিবেদন লেখার
জন্য প্রতিবেদনের সুনির্দিষ্ট ৭টি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে।
১. সুনির্দিষ্ট কাঠামো: সংবাদ
প্রতিবেদন সাধারণত দুই ধরণের হয়। ক. সাংবাদিক হিসেবে খ. সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে
নয়, কেবল প্রতিবেদক হিসেবে সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য। এই দুই ধরনের প্রতিবেদন
দুই নিয়মে লেখতে হয় তাই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম জানার জন্য জানতে হবে তুমি
কি হিসেবে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লেখবে। এ নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
২. সঠিক তথ্য: যেহেতু
সংবাদ প্রতিবেদন অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। যার কারণে সংবাদ প্রতিবেদন লেখতে গেলে
অবশ্যই সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
৩. সম্পূর্ণতা: প্রতিবেদনে
যেসব তথ্য পরিবেশিত হবে তা হতে হবে নির্ভুল, সম্পূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য।
৪. সুস্পষ্টতা: সংবাদ
প্রতিবেদন অবশ্যই চলিত ভাষায় হতে হবে। বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্টতা থাকতে হবে। যাতে যে
কোনো পাঠক প্রতিবেদনটি পড়ে বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারে।
৫. সংক্ষিপ্ততা:
সংবাদ প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত হওয়া বাঞ্চনীয়। বক্তব্য হবে সুনির্বাচিত এবং কোন অনাবশ্যক
বক্তব্য সংযোজিত হতে পারবে না ।
৬. সুন্দর উপস্থাপন:
বক্তব্য সহজ সরল ভাষায় আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন সফল সংবাদ প্রতিবেন লেখার অন্যতম শর্ত।
৭.সুপারিশ: সংবাদ
প্রতিবেদন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রচিত হলে যাতে কর্তৃপক্ষ সমস্যা সম্পর্কে
উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে তার জন্য নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে উপযুক্ত সুপারিশ
প্রদান করতে হবে।
প্রতিবেদনের এই ৭টি বৈশিষ্ট
ঠিক রেখে সংবাদ প্রতিবেদন লেখতে হয়। আমরা আগেই বলেছি সংবাদ প্রতিবেদন দুই ধরনের হয় ১.
সাংবাদিক হিসেবে ২. সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে নয়, কেবল প্রতিবেদক হিসেবে সংবাদ পত্রে
প্রকাশের জন্য।
১. সাংবাদিক হিসবে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
সাংবাদিক হিসেবে: সাংবাদিক
হিসেবে প্রতিবেদন লেখার সুবিধা হলো এতে শুধু শিরোনাম লিখেই মূল লেখায় চলে যাওয়া যায় এ
ধরনের প্রতিবেদন লিখতে গিয়ে সম্পাদকের নিকট আনুষ্ঠানিক পত্র কিংবা খাম আঁকার
প্রয়োজন নেই। নিচে সংবাদিক হিসবে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লেখার নিয়মের কয়েকটি
নমুনা দেওয়া হলো
আরো পড়তে পারেন
ক. জালিয়াত চক্রের সদস্য
ধৃত হওয়া সম্পর্কে প্রতিবেদন
শিরোনাম: বেনাপোলে জাল
টাকা ও ডলারসহ দুই জালিয়াত অটিক।
বেনাপোল সংবাদদাতা ॥ ৮
ডিসেম্বর, ২০২৩॥ গতকাল বুধবার বেনাপোল বাজারে জাল টাকা ডলারসহ আন্তর্জাতিক জালিয়াতি
ও প্রতারক চক্রের দু' সদস্য ধরা পড়েছে স্থানীয় জনতার হাতে। ধৃতরা হলো সাতক্ষীরার
গোনারাকাঠি গ্রামের কবির সরদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৫) ও ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের শহর
আলীর ছেলে আবু বকর (৩৮)। এ সময় তাদের কাছে কিছু ৫০০ টাকার জাল নোট ও ২০ ডলার পাওয়া
যায়। এ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন শার্শার বিভিন্ন এলাকায় ডলার বিক্রির নামে সহজ সরল
মানুষের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার কাজ করে আসছিল। এ প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের
সব সদস্যের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলায় ।
ধৃত আবুল কালাম ও আবুবকর
জানায়, তারা একটি চক্রের মাধ্যমে এ কাজ করে থাকে। তারা এ পেশায় নতুন। এ চক্রের মূল
হোতারা হচ্ছে সাতক্ষীরা আশাশুনির আতিয়ারের ছেলে ওলিয়ার, মুজিবরের ছেলে ইয়াছিন, মৃত
অহেদ আলীর ছেলে মেথর জাহাঙ্গীর, সুলতানের ছেলে রেজাউল, মশরিয়ারের ছেলে হবিবর এবং আব্দুর
রশীদের ছেলে মধু সরদার।
সূত্র জানায়, এ চক্রের
সদস্য কালা, ইয়াছিন ও মেঘর জাহাঙ্গীর গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার বেনাপোলের পলাশ হোটেলের
মালিক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে এসে বলে তাদের বাড়িতে ৫ হাজার ডলার আছে। নমুনাস্বরূপ একটি
২০ ডলারের নোট দেখায় তারা এবং সমুদয় ডলার ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে বলে
জানায়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর তাদের কথায় বিশ্বাস করে ডলার কেনার জন্য ১ লাখ ৭০ হাজার
টাকা নিয়ে সাতক্ষীরায় যায়। সেখানে পৌঁছার পর এ প্রতারক চক্রের সদস্যরা জাহাঙ্গীরকে
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সমুদয় টাকা ছিনিয়ে নেয়। জাহাঙ্গীর প্রাণের ভয়ে
সেখান থেকে পালিয়ে আসে।
খ. মেঘনা নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে
প্রতিবেদন
শিরোনাম: মেঘনায় অব্যাহত
নদী ভাঙ্গন : হারিয়ে যাচ্ছে হাইমচর
চাঁদপুর সংবাদদাতা ॥ ২৮
অক্টোবর, ২০২৩ ॥ হাইমচর উপজেলাটি ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মেঘনা নদীর দু'যুগের অব্যাহত
ভাঙনে হাইমচর উপজেলাটি হারিয়ে যাচ্ছে মেঘনাবক্ষে। ইতোমধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের তিনটি
ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি তিনটি ইউনিয়নেরও আংশিক এখন নদীতে। এ
তিনটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন মানবেতর জীবনযাপন করছে। হাজার
হাজার হেক্টর উর্বর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে ।
হাইমচর উপজেলার ১০টির মধ্যে ছয়টি উচ্চ বিদ্যালয় ২/৩ বার করে স্থানান্তর করতে হয়েছে। উপজেলার একমাত্র ইন্টারমিডিয়েট কলেজটি বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। ১২টি মাদ্রাসার মধ্যে ছয়টি নদীভাঙ্গার কারণে স্থানান্তর করতে হয়েছে। এ বছর ১টি মাদ্রাসা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ৬৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩/৪ বার করে স্থানান্তর করতে হয়েছে। প্রমত্তা মেঘনার অব্যাহত ভাঙনের কারণে হাইমচর উপজেলা কমপ্লেক্স, থানা ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩য় বারের মতো বর্তমানে উপজেলার পূর্বপ্রান্ত আলগী বাজারে স্থানান্তরিত হয়েছে।
মেঘনার করাল গ্রাসে চাঁদপুর-হাইমচর সিআইপি বেড়িবাঁধটি গত ২৫ বছরে ৫ বার ভেঙেছে। গত ২ যুগের অব্যাহত ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ হয়েছে গৃহহীন ও সর্বস্বান্ত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রশাসনিক ভবন, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজারসহ অবকাঠামোগত ক্ষতি হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোট কোটি টাকার রাজস্ব থেকে। প্রতি বছর নদীভাঙার কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও হাইমচরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি নদীভাঙার থেকে রক্ষা করায় স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে না।
১৯৮৮ সালের প্রবল বন্যায়
হাইমচরের প্রাণকেন্দ্র হাইমচর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস-আদালত,
বৃহত্তম হাইমচর বাজার নদীভাঙার কবলে পড়ে। তৎকালীন সরকার হাইমচর রক্ষায় একটি কমিটি
গঠন করে। কমিটি সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করে যে চার কোটি টাকা হলে 'মোয়েন বাঁধের'
মাধ্যমে হাইমচরবাসীকে নদীভাঙার কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব। তৎকালীন সরকার সে চার কোটি
টাকার প্রকল্পও বাস্তবায়ন করে নি। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা
শোনা গেছে। কিন্তু কোনো প্রকল্প আলোর মুখ দেখে নি বর্তমান সরকারের প্রথম দিকে
৪৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে ওঠার জন্য ফাইলবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কার্যকর পদক্ষেপ
দেখা যাচ্ছে না।
গ. মাদকাসস্তের সংখ্যা
বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
শিরোনাম: ঠাকুরগাঁওয়ে
মাদকাসত্ত্বের হার বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে।
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা॥ ২০ নভেম্বর, ২০২৩॥ ঠাকুরগাওয়ে মাদকাসক্তি ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সের ছেলেমেরাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন মাদকাসত হয়ে পড়ছে। ঠাকুরগাওয়ের ১২৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা জুড়ে চলছে চোরাচালান । ঠাকুরগাঁও জেলার পুরো সীমান্ত এলাকায় জমজমাটভাবে চলছে মাদকসহ নানা পণ্যের চোরাচালান। গত তিন মাসে বিডিআর ১০ দিন অপারেশন করে ৭২১ বোতল ফেনসিডিল আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করে। সরেজমিন জানা গেছে, যেটুকু ফেনসিডিল ধরা পড়ে, তার প্রায় ১০ গুণ পাচার হয়ে যায়।
সীমান্তবর্তী হাটগুলোতে চা-পানসহ সবধরনের দোকানেই ফেনসিডিল বিক্রি হয়ে থাকে। তবে লোক- বুঝে সেসব সরবরাহ করা হয়। এছাড়া মাদক আড়ত গড়ে ওঠেছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ, রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এবং পীরগঞ্জ ও হরিপুর এলাকার হাটগুলোতে। সীমান্ত থেকে ছোট ছোট চালানে ছোট কারবারিরা ফেনসিডিলসহ মসলা, কসমেটিক দ্রব্যাদিসহ অন্যান্য পণ্য বহন করে, আড়তে বিক্রি করে। পরে সেসব পাঠানো হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অভিযোগ আছে, বেশিরভাগই যায় সড়ক পথে ঢাকাগামী কোচ কিংবা পিকআপে।
সীমান্ত থেকে আড়ত পর্যন্ত বহন কাজে ব্যবহৃত হয় শিশু ও মহিলারা। মাদকদ্রব্যের বড় গ্রাহক হচ্ছে শহরের উঠতি বয়সের ছেলেরা। তারা প্ৰায় সবাই ছাত্র। বিকেল হতে না হতেই মোটরসাইকেলযোগে দলে দলে ছুটে যায় তার নিকটবর্তী হাটগুলোর আড়তে। কারণ হিসেবে জানা যায়, আড়তে মাদকের দাম কম। বর্তমানে কেবল ছাত্ররা বা উঠতি বয়সের তরুণরাই নয়, অন্য পেশার অনেকেই দেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার মাদকসহ ওইসব চোরাচালানের নিরাপদ রুটগুলো হচ্ছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী, মোলানি, কেউরঝাড়ি, ভাবরি, নাগার ভিটা এবং হরিপুর উপজেলার হরিপুর, গোদুরা, ভাতুরিয়া, জীবনপুর, মীনাপুর, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা, জাবরহাট, রগঞ্জ ও চাদন এলাকা এইসব গ্রাম থেকে ভারতের সীমান্ত হচ্ছে মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ গজ।
যাতায়াতের কোনো বাধা নেই। ফলে এই গ্রামবাসীর পেশা হয়ে
ওঠেছে চোরাচালান। এ চোরাচালান রোধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। জেলা প্রশাসক বলেন, চোরাচালানি
ঘাঁটি বলে পরিচিত ওইসব এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিডিআর-এর যৌথ অভিযান
চালানোর একাধিক উদ্যোগ নেয়া হলেও সমন্বয়ের অভাবে তা সম্ভব হয় নি।
২. সাংবাদিক হিসেবে নয় শুধু প্রকাশের জন্য সংবাদপত্র প্রতিবেদন লেখার নিয়ম
সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে
নয়, কেবল প্রতিবেদক হিসেবে সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য প্রতিবেদন লেখতে হলে সম্পাদকের
নিকট আনুষ্ঠানিক পত্র লেখতে হয় এবং খাম আঁকতে হয়। তাই সংবাদ প্রতিবেদন লেখার
নিয়ম জানার জন্য আগে তোমাকে জানতে হবে তুমি সাংবাদিক হিসেবে না কি শুধু মাত্র একজন
প্রতিবেদক হিসেবে প্রতিবেদনটি লেখবে। সাংবাদিক হিসবে নয় শুধু মাত্র সংবাদ পত্রে প্রকাশের
জন্য সংবাদপত্র প্রতিবেদন লেখার নিয়মের কয়েকটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো।
সংবাদপত্র প্রতিবেদন লেখার
নিয়ম নমুনা
বরাবর
সম্পাদক,
দৈনিক নয়া দিগন্ত
ঢাকা - ১২০৪
বিষয়: "নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রাব্যের মূল্যবৃদ্ধি" শিরোনামযুক্ত প্রতিবেদনটি আপনার পত্রিকায় প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
নিম্নোক্ত "নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রাব্যের মূল্য বৃদ্ধি" শিরোনামযুক্ত প্রতিবেদনটি অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এ সম্পর্কে জনসচেতনা তৈরির জন্য এবং সমস্যা সমাধানের জন্য বাস্তব প্রদক্ষেপ নেয়া দরকার।
এই কারণে নিম্নের প্রতিবেদনটি আপনার বহুল প্রচারিত "নয়া দিগন্ত" পত্রিকায়
প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
প্রতিবেদক
জুয়েল রানা
চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর
তারিখ :
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের
মূল্যবৃদ্ধি
গত মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন চাল, ডাল, নুন, ভোজ্য তেল, মরিচ, পেয়াজ, রসুন ইত্যাদি দ্রব্যের দাম হুহু করে বেড়ে চলেছে। দিন দিন অবস্থা নাজুক হয়ে ওঠেছে। দরিদ্র জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতা ক্রমে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ গতির কারণ মজুতদারি। অসৎ ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মজুত করে বাজারে যোগান সীমিত করে ফেলে ।
ফলে দ্রব্যমূল দৃদ্ধির পায়। তাদের এই অসৎ উদ্দেশ্যের সহায়ক হয়েছে বিরোধী দলগুলোর কয়েকটি হরতাল। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছে। প্রকৃতপক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয়, দ্রব্যসমূহের চাহিদার তুলনায় মজুত অপর্যাপ্ত নয়। দেশে বেশ কয়েক মাস চলার উপযোগী চাল, ডাল, নুন, তেল ইত্যাদি রয়েছে। এ অবস্থায় মজুতদার ও অসৎ ব্যবসায়ীদের বাগে আনতে পারলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তাছাড়া সরকার পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রসমূহ থেকে
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি ঘোষণা দিয়েছে। এতেও সুফল পাওয়া যাবে। এখন প্রয়োজন
প্রশাসনের কার্যকর, সঠিক নজরদারি এবং সচেতন জনগোষ্ঠীর দেশ প্রেম ।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি সংবাদ প্রতিবেদন লেখার নিয়ম তোমার সফলতায় অবদান রাখবে। তোমার কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ হাফেজ...