সমাস শব্দের অর্থ সংক্ষেপণ। বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করাই সমাসের কাজ। সমাসের মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয়। তাই সমাস শব্দ গঠনের অন্যতম মাধ্যম। সমাস ভাষাকে শ্রুতি মধুর, প্রাঞ্জল ও গতিশীল করে।
সমাস কাকে বলে |
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সমাস হতে অবশ্যই প্রশ্ন থাকে। তাই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য সমাস কাকে বলে? সমাস কত প্রকার ও কী কী ইত্যাদি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন জানা যাক সমাস কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?
সমাস কাকে বলে
পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদ একপদে পরিণত হওয়াকে সমাস বলে।
যেমন: সিংহ চিহ্নিত আসন
= সিংহাসন
সহজে সমাস নির্ণয়ের জন্য নিচের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন
সমাসকে
বিশ্লেষণ করলে ৫ টি অংশ পাওয়া যায়। যথা: ১. ব্যাস বাক্য ২. সমস্যমান পদ ৩. পূর্বপদ ৪. পরপদ
৫. সমস্ত পদ
সিংহ
চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
উপরের
সমাস বাক্যটির মধ্যে "সিংহ চিহ্নিত আসন" বাক্যটি ব্যাস বাক্য। "সিংহ,
আসন" দুটি সমস্যমান পদ। "সিংহ" পূর্বপদ "আসন" পরপদ এবং
"সিংহাসন" সমস্তপদ। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
ব্যাসবাক্য কাকে বলে
যে
বাক্য সমস্যমান পদগুলোর পরস্পর সম্পর্কে নিরূপন করে অথবা সমস্তপদকে ভাঙলে যে বাক্য
পাওয়া যায়, তাকে ব্যাসবাক্য বা সমাস বাক্য বা বিগ্রহ বাক্য বলে।
সমস্যমান পদ কাকে বলে
যে
যে পদ সমাস হয় তাকে সমস্যমান পদ বলে।
পূর্বপদ ও পরপদ কাকে বলে
সমাসবদ্ধ
পদের প্রথমটি পূর্বপদ ও পরেরটি উত্তর পদ বা পরপদ।
সমস্তপদ কাকে বলে
সমস্যমান
পদগুলো মিলে যে একটি পদ হয়, তাকে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ বলে।
সমাস কত প্রকার ও কী কী
সমাস
প্রধানত ছয় প্রকার। যথা:
১. দ্বন্দ্ব সমাস, ২. কর্মধারয় সমাস, ৩. তৎপুরুষ সমাস, ৪. বহুব্রীহি সমাস, ৫. দ্বিগু সমাস, ৬. অব্যয়ীভাব সমাস
চিত্রে সমাসের প্রকারভেদ দেখানো হয়েছে |
এছাড়াও
প্রাদি সমাস, নিত্য সমাস, অলুক সমাস ইত্যাদি কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে।
১. দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে
যে
সমাসের প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন:
মা ও বাবা = মা-বাবা
বিঃদ্রঃ
দ্বন্দ্ব সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সমন্ধ বোঝানোর জন্য ব্যাসবাক্যে এবং, ও, আর এ তিনটি
অব্য়য় পদ ব্যবহার করা হয়।
দ্বন্দ্ব সমাস কত প্রকার ও কী কী
দ্বন্দ্ব
সমাস তিন প্রকার। যথা:
ক. অলুক দ্বন্দ্ব সমাস, খ. বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস, গ. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস
চিত্রে দ্বন্দ্ব সমাসের প্রকারভেদ দেথানো হয়েছে |
ক. অলুক দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে
যে
দ্বন্দ্ব সমাসে কোনো সমস্যমান পদের বিভক্তি লোপ হয় না, তাকে অলুক দ্বন্দ্ব সমাস বলে।
যেমন: দুধে-ভাতে
খ. বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে
তিন
বা বহু পদে দ্বন্দ্ব সমাস হলে তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন: সাহেব-বিবি-গোলাম
গ. একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস কাকে বলে
যে
দ্বন্দ্ব সমাসে প্রধান পদটি অবশিষ্ট থেকে অন্য পদগুলো লোপ পায় এবং শেষ পদ অনুসারে শব্দ
শব্দ নির্ধারিত হয়, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব বলে। যেমন: তুমি আমি ও সে = আমরা
২. কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
যে সমাসে বিশেষণ বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধাররূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন: নীল যে আকাশ = নীলাকাশ
কর্মধারয় সমাস কত প্রকার ও কী কী
কর্মধারয়
সমাস ৫ প্রকার। যথা:
ক. উপমান কর্মধারয় সমাস, খ. উপমিত কর্মধারয় সমাস, গ. রূপক কর্মধারয় সমাস, ঘ. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস এবং ঙ. সাধারণ কর্মধারয় সমাস
চিত্রে কর্মধারয় সমাসের প্রকারভেদ দেখানো হয়েছে |
ক. উপমান কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
সাধারণ
ধর্মবাচক পদের সঙ্গে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয়, তাকে উপমান কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন:
অরুণের ন্যায় রাঙা = অরুণরাঙা
খ. উপমিত কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
সাধারণ
গুণের উল্লেখ না করে উপমেয় পদের সাথে উপমানের যে সমাস হয়, তাকে উপমিত কর্মধারয় সমাস
বলে। যেমন: পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ
গ. রূপক কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
উপমান
ও উপমেয়কে অভিন্ন কল্পনা করে উপমান ও উপমেয় পদের যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস
বলে। যেমন: মন রূপ মাঝি = মনমাঝি।
ঘ. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
যে
কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ রোপ হয়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন:
স্মৃতি রক্ষার্থে সৌধ = স্মৃতিসৌধ
ঙ. সাধারণ কর্মধারয় সমাস কাকে বলে
সাধারণ
ভাবেই যে সকল সমাসে পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে সাধারণ কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন:
গিন্নিমা
৩. তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
বিভক্তির লোপ পেয়ে যে সমাস হয় এবং যে সমাসে পরপদের অর্থের প্রাধান্য পায়, তাকে তৎপুরুষ
সমাস বলে। যেমন: বিপদকে আপন্ন = বিপদাপন্ন
তৎপুরুষ সমাস কত প্রকার ও কী কী
তৎপুরুষ সমাস নয় প্রকার। যথা:
ক. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস, খ. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস, গ. চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস, ঘ. পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস, ঙ. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস, চ. সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস, ছ. উপপদ তৎপুরুষ সমাস, জ. অলুক তৎপুরুষ সমাস এবং ঝ. নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
চিত্রে তৎপুরুষ সমাসের প্রকারভেদ দেখানো হয়েছে |
ক. দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদের
দ্বিতীয়া বিভক্তি ( কে, রে) লোপ পেয়ে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
বল। যেমন: পরলোকে গত = পরলোকগত
খ. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদের
তৃতীয়া বিভক্তি ( দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক) লোপে যে সমাস হয়, তাকে তৃতীয়া তৎপুরুষ
সমাস বলে। যেমন: মন দিয়ে গড়া = মনগড়া
গ. চতুর্থী তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
চতুর্থী বিভক্তি ( কে, জন্য, নিমিত্ত) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে চতুর্থী তৎপুরুষ
সমাস বলে। যেমন: আরামের জন্য কেদারা = আরাম কেদরা
ঘ. পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদের
পঞ্চমী বিভক্তি ( হতে, থেকে, চেয়ে) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস
বলে। যেমন: বিলাত থেকে ফেরত = বিলাতফেরত
ঙ. ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
ষষ্ঠী বিভক্তি ( র, এর, দের) লোপ হয়ে যে সমাস গঠিত হয় তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস
বলে। যেমন: খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট
চ. সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
সপ্তমী বিভক্তি ( এ, য়,তে) লোপ পেয়ে যে সমাস হয় তাকে সপ্তমী তৎপুরুষ সমাস বলে।
যেমন: দানে বীর = দানবীর
ছ. উপপদ তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
কৃদন্ত
পদের ( যা, যে) সঙ্গে উপপদের যে সমাস হয়, তাকে উপপদ তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: জলে
চরে যে = জলচর
জ. অলুক তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
যে তৎপুরুষ
সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ হয় না, তাক অলুক তৎপুরুষ সমাস বলে। যেমন: গায়ে পড়া
= গায়েপড়া
ঝ. নঞ্ তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে
যে তৎপুরুষ
সমাসের পূর্বপদে না বাচক অব্যয় ( অ,আ, না, নি, বে) থাকে তাকে নঞ্ তৎপুরুষ সমাস
বলে। যেমন: ন কাতর = অকাতর
৪. বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
যে
সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্যটির অর্থ বোঝায় তাকে বহুব্রীহি
সমাস বলে। যেমন: সহ উদর যার = সহোদর
বহুব্রীহি সমাস কত প্রকার ও কী কী?
বহুব্রীহি
সমাস ৯ প্রকার। যথা:
ক. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস, খ. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস, গ. অলুক বহুব্রীহি সমাস, ঘ. নঞ্ বহুব্রীহি সমাস, ঙ. প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি সমাস, চ. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস, ছ. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস, জ. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস এবং ঝ. নিপাতন সিদ্ধ বহুব্রীহি
চিত্রে বহুব্রীহি সমাসের প্রকারভেদ দেখানো হয়েছে |
ক. ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
ক্রিয়ার
পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়। এ সমাসে পূর্বপদে "আ"
এবং পরপদে "ই" যুক্ত হয়। যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতহাতি
খ. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
সংখ্যাবাচক এবং পরপদে বিশেষ্য হলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি
সমাস বলে। যেমন: চৌ চাল যে ঘরের = চৌচালা
গ. অলুক বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
যে বহুব্রীহি সমাসে
পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না তাকে অলুক বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন:
মাথায়পাগড়ি
ঘ. নঞ্ বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
পূর্বপদে
নঞর্থক (না-অর্থবোধক) অব্যয় ও পরপদে বিশেষ্য মিলে যে তৃতীয় বিষয়ের ধারণা প্রকাশ পায়
তাকই নঞ্ বহুব্রীহি সমাস বলে। যেমন: নেই যার আশ্রয় = অনাশ্রিত।
ঙ. প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
যে বহুব্রীহি
সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলা হয় প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি
সমাস্ যেমন: একদিকে চোখ যার = একচোখা
চ. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
বহুব্রীহি
সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
সমাস বলে। যেমন: বীণা পাণিতে যার = বীণাপাণি
ছ. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
পূর্বপদ
বিশেষণ ও পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন: হত হয়েছে
শ্রী যার = হতশ্রী
জ. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে
ব্যাসবাক্যে
মধ্যপদ লোপ পেয়ে যে বহুব্রীহি সমাস গঠিত হয় তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি সমাস
বলে। যেমন: বিড়ালের মতো চোখ যার = বিড়ালচোখী
ঝ. নিপাতন সিদ্ধ বহুব্রীহি
কিছু বহুব্রীহি
সমাস রয়েছে যেগুলো কোনো নিয়মে তৈরি হয় না সোগুলোকে নিপাতন সিদ্ধ বহুব্রীহি বলে।
যেমন: নারাকারের পশু = নরপশু
৫. দ্বিগু সমাস কাকে বলে
সমাহার
(সমষ্টি) বা মিলন অর্থে সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু
সমাস বলে। দ্বিগু সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং উত্তর পদে বিশেষ্যপদ হয়। যেমন:
ত্রি কালের সমাহার = ত্রিকাল
৬. অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে
অব্যয়ীভাব
শব্দের অর্থ অব্যয় পদের ভাব বিশিষ্ট। পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই
অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। যেমন: দ্বীপের সদৃশ্য =
উপদ্বীপ
নিত্য সমাস কাকে বলে
যে
সমাসে সমাসবদ্ধ পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাস বাক্যের দরকার হয় না, তাকে নিত্য
সমাস বলে। যেমন: অন্য গ্রাম = অন্যগ্রাম
22222
প্রাদি সমাস কাকে বলে
প্র,
প্রতি, অনু, প্রভৃতি অব্যয়ের সঙ্গে যদি কৃৎ-প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস হয়, তাকে
প্রাদি সমাস বলে। যেমন: প্র (প্রকৃষ্ট) গতি যার = প্রগতি
আমাদের শেষ কথা
আশা করি সমাস কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনাটি তোমার সফলতায় অবদান রাখবে। তোমার কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ হাফেজ...