যে শব্দ দ্বারা কাজ করা বুঝায় তাকে ক্রিয়া পদ বলে। ক্রিয়ার মূল অংশকে ক্রিয়ামূল বা ধাতু বলে। বিভিন্ন ধরণের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ধাতু থেকে প্রশ্ন আসে। তাই ধাতু কাকে বলে এবং ধাতু সমন্ধে বিস্তারিত জানা শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ আর্টিকেলে ধাতু কাকে বলে উদাহরণসহ বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলা হয় ধাতু বা ক্রিয়ামূল। |
ধাতু কাকে বলে
ক্রিয়াপদের
মূল অংশকে বলা হয় ধাতু বা ক্রিয়ামূল। ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটো অংশ পাওয়া
যায়। যথা : ক. ধাতু বা ক্রিয়ামূল ও খ. ক্রিয়া বিভক্তি। ক্রিয়াপদ থেকে ক্রিয়া বিভক্তি
বাদ দিলে যা থাকে তাই ধাতু। যেমন কর্ + এ = করে। এখানে 'কর্' ধাতু এবং 'এ' ক্রিয়া
বিভক্তি।
ড.
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ক্রিয়ার মূল অর্থ যাতে নিহিত, যার দ্বারা ক্রিয়ার
ভাবটি প্রতিপাদিত হয়, তাকে বলে ক্রিয়ার ধাতু।
ধাতু কত প্রকার ও কী কী ?
ধাতু
প্রধানত তিন প্রকার। যথা : ১. মৌলিক ধাতু ২. সাধিত ধাতু ৩. যৌগিক ধাতু বা সংযোগমূলক
ধাতু।
১. মৌলিক ধাতু কাকে বলে
যেসব
ধাতু বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়, সেগুলোই মৌলিক ধাতু। এ গুলোকে সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ ধাতুও
বলা হয়। যেমন : চল্, পড়ু, কর্ ইত্যাদি। মৌলিক ধাতুকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়
। যথা :
ক.
বাংলা ধাতু : যেসব ধাতু বা ক্রিয়ামূল সংস্কৃত থেকে সোজাসুজি আসেনি সেগুলো হলো বাংলা
ধাতু। যেমন : কাট্, কাদ্, জান্, নাচ্
খ.
সংস্কৃত ধাতু : বাংলা ভাষায় যেসব তৎসম ক্রিয়াপদের ধাতু প্রচলিত রয়েছে তাদের সংস্কৃত
ধাতু বলে । যেমন : কৃ, গম্, ধৃ, গঠ, স্থা, পঠ।
সংস্কৃত ও বাংলা ধাতু থেকে গঠিত শব্দ
সংস্কৃত ধাতু | সাধিত পদ | বাংলা ধাতু | সাধিত পদ |
---|---|---|---|
অঙ্ক | অঙ্কন, অঙ্কিত | আঁক্ | আঁকা |
কথ্ | কথ্য, কথিত | কহ্ | কওয়া, কহন |
কৃৎ | কর্তন, কর্তিত | কাট্ | কাটা |
কৃ | কৃত, কর্তব্য | কর্ | করা, করে |
ক্রন্দ | ক্রন্দন | কাঁদ্ | কাঁদা |
ক্রী | ক্রয়, ক্রীত | কিন্ | কেনা, কেনাকাটা |
খাদ্ | খাদ্য, খাদক | খা | খাওয়া |
গঠ্ | গঠিত | গড্ | গড়া, গড়ন |
ঘৃষ্ | ঘৃষ্ট, ঘর্ষণ | ঘষ্ | ঘষা |
ধৃ | ধৃত, ধারণ | ধর্ | ধরা, ধরন |
পঠ্ | পঠন, পাঠ্য, পঠিত | পড়্ | পড়া, পড়ন |
বন্ধ্ | বন্ধন | বাঁধ | বাঁধন, বাঁধা |
বুধ্ | বুদ্ধ, বোধ | বুঝ্ | বুঝা |
রক্ষ | রক্ষণ, রক্ষিত | রাখ্ | রাখা |
শ্রু | শ্রবণ, শ্রুত | শুন্ | শুনা, শোনা |
স্থা | স্থান, স্থানীয় | থাক্ | থাকা |
হস্ | হাস, হাসন | হাস্ | হাসা, হাসি |
দৃশ্ | দৃশ্য, দর্শন | দেখ্ | দেখা |
গ.
বিদেশি ধাতু : যে সব ধাতু (প্রধানত হিন্দি, আরবি, ফারসি) বিদেশি ভাষা থেকে : এসেছে,
সেগুলো বিদেশি ধাতু বা বিদেশাগত ধাতু নামে পরিচিত। যেমন : ডর্, লক্।
অধিকাংশ বিদেশি ধাতু হিন্দি থেকে এসেছে। সে ভিক্ষে মেগে খায়। এ বাক্যে ‘মাগ্ ধাতু হিন্দি মাঙ’ থেকে আগত। এছাড়া কিছু বিদেশি ধাতু আছে যা কোন দেশ থেকে এসেছে তা নির্ণয় করা যায় না। এ ধরনের ধাতুকে বলা হয় অজ্ঞাতমূল ধাতু। যেমন : হের ঐ দুয়ারে দাঁড়িয়ে কে? এ বাক্যে 'হের' ধাতুটি কোন ভাষা থেকে আগত তা জানা যায় না। তাই এটি অজ্ঞাতমূল ধাতু। কয়েকটি অজ্ঞাতমূল ধাতু হলো : ভাস, খস্, গল্, হের, চট ।
নিচে কয়েকটি বিদেশি ধাতুর উদাহরণ দেওয়া হলো :
ধাতু | ব্যবহৃত অর্থ | ধাতু | ব্যবহৃত অর্থ |
---|---|---|---|
আঁট্ | শক্ত করে বাঁধা | ফির | পুনরাগমণ, পুনরাবৃত্তি |
খাট্ | মেহনত করা | চাহ্ | প্রার্থনা করা |
চেঁচ্ | চিৎকার করা | বিগড় | নষ্ট হওয়া |
জম্ | ঘনীভূত হওয়া | ভিজ্ | সিক্ত হওয়া |
ঝুল্ | দোলা | ঠেল্ | ঠেলা |
টান্ | আকর্ষণ | ডাক্ | আহ্বান করা |
টুট্ | ছিন্ন হওয়া | লটক্ | ঝুলানো |
ডর্ | ভীত হওয়া | বৈঠ্ | বসা |
২. সাধিত ধাতু কাকে বলে
মৌলিক
ধাতু বা কোনো কোনো নাম শব্দের সঙ্গে ‘আ' প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে সাধিত
ধাতু বলে। যেমন : দেখ্ + আ = দেখা ।
সাধিত
ধাতুর সঙ্গে কাল ও পুরুষসূচক বিভক্তি যুক্ত করে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। যেমন : ঠাকমা নাতীকে
গল্প শোনায়। এ বাক্যে শুন্' ধাতুর সঙ্গে ‘আ' প্রত্যয় যোগ করে এবং বর্তমান কালের সাধারণ নামপরুষের
ক্রিয়া বিভক্তি য়' যোগ করে ‘শোনায়' ক্রিয়াপদটি গঠিত হয়েছে।
আরো পড়তে পারেন
সাধিত
ধাতু তিন প্রকার। যথা :
ক.
নামধাতু : বিশেষ্য, বিশেষণ এবং অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয়, তাকে নাম ধাতু
বলে । যেমন : ঘুম্ + আ = ঘুমা ৷
খ.
প্রযোজক ধাতু : মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থে অর্থাৎ অপরকে নিয়োজিত করা অর্থে-'আ' প্রত্যয়
যোগ করে প্রযোজক ধাতু বা ণিজন্ত ধাতু গঠিত হয়। যেমন : মা শিশুকে চাঁদ দেখায়। তিনি
ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। দাদি তার নাতিকে ভাত খাওয়াচ্ছেন।
গ.
কর্মবাচ্যের ধাতু : মৌলিক ধাতুর সঙ্গে ‘আ' প্রত্যয় যোগে কর্মবাচ্যের ধাতু সাধিত হয়। এটি
বাক্যমধ্যস্থ কর্মপদের অনুসারী ক্রিয়ার ধাতু। কর্মবাচ্যের ধাতু' বলে আলাদা নামকরণের
প্রয়োজন নেই। কারণ, এটি প্রযোজক ধাতুরই অন্তর্ভুক্ত। যেমন : দেখ্ + আ = দেখা, হার্
+ আ = হারা।
বাক্যে
প্রয়োগ : কাজটি ভালো দেখায় না। 'যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর।'
এখানে ‘দেখায়’ এবং ‘হারায়’ প্রযোজক ধাতু।
৩. সংযোগমূলক ধাতু কাকে বলে
বিশেষ্য,
বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে কর্, দে, পা, খা, ছাড় ইত্যাদি মৌলিক ধাতু সংযুক্ত
হয়ে যে ধাতু গঠিত হয়, তাই সংযোগমূলক ধাতু । যেমন : যোগ (বিশেষ্য পদ) + কর্ (ধাতু)
= 'যোগ কর' (সংযোগমূলক ধাতু)। বাক্য- তিনের সঙ্গে পাঁচ যোগ করো। সাবধান (বিশেষ্য)
+ হ (ধাতু) = সাবধান হ (সংযোগমূলক ধাতু)।
বাক্যে
প্রয়োগ : এখনও সাবধান হও, নতুবা আখেরে খারাপ হবে। সংযোগমূলক ধাতুজাত ক্রিয়া সকর্মক
ও অকর্মক দুই-ই হতে পারে।
সংযোগমূলক
ধাতুযোগে গঠিত কয়েকটি ক্রিয়াপদ
১.
কর - ধাতুযোগে :
ক.
বিশেষ্যের সঙ্গে : ভয় কর, লজ্জা কর্, গুণ কর্।
খ.
বিশেষণের সঙ্গে : ভালো কর্, মন্দ কর্, সুখী কর্ ।
গ.
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যের সঙ্গে : ক্রয় কর্, দান কর্, দর্শন কর্, রান্না কর্ ।
ঘ.
ক্রিয়াজাত (কৃদন্ত) বিশেষণের সঙ্গে : সঞ্চিত কর্, স্থগিত কর্ ।
ঙ.
ক্রিয়া-বিশেষণের সঙ্গে : জলদি কর্, তাড়াতাড়ি কর্, একত্র কর্।
চ.
অব্যয়ের সঙ্গে : না কর্, হাঁ কর্, হায় হায় কর্, ছি ছি কর্।
ছ.
ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সঙ্গে : খাঁ খাঁ কর্, বন বন কর্, টন টন কর্ ।
জ.
ধ্বন্যাত্মক শব্দসহ ক্রিয়া বিশেষণ গঠনে : চট কর্, ধাঁ কর্, হন হন কর্।
২.
হ- ধাতুযোগে : বড় হ, ছোট হ, ভালো হ, রাজি হ, সুখী হ।
৩.
দে ধাতুযোগে : উত্তর দে, টাকা দে, দাগা দে, জবাব দে, কান দে, দৃষ্টি দে।
৪.
পা- ধাতুযোগে : কান্না পা, ভয় পা, দুঃখ পা, ব্যথা পা, টের পা।
৫.
খা— ধাতুযোগে : মার খা, হিমশিম খা, ছাক খা, ঘষা খা।
৬.
কাট্— ধাতুযোগে : সাঁতার কাট্, ভেংচি কাট্, জিভ কাট্ ।
৭.
ছাড়— ধাতুযোগে : গলা ছাড়, ডাক ছাড়, হাল ছাড়।
৮.
ধর্— ধাতুযোগে : গলা ধর্, ঘুণে ধর্, পচা ধর্, মাথা ধর্,
গোঁ ধর্ ।
৯.
যা- ধাতুযোগে : অস্ত যা, বাড়ি যা ।
১০.
বাস্- ধাতুযোগে : ভালো বাস্, মন্দ বাস্ ।
22222
অসম্পূর্ণ ধাতু কাকে বলে
বাংলা
ভাষায় কয়েকটি ধাতুর সকল কালের রূপ পাওয়া যায় না। সাধারণত সহকারী ক্রিয়া গঠনে এদের
কয়েকটি রূপ পাওয়া যায় মাত্র। যে সকল ধাতুর সকল কালের রূপ পাওয়া যায় না, সে সকল ধাতুকে
অসম্পূর্ণ ধাতু বলে। যেমন:
১.
আ ধাতু : আইল > এল, আইলেন > এলেন, আইলে > এলে। বট্ ধাতু (বর্তমান কালে) বটে, বটেন,
বট, বটিস, বটি ।
২.
আছ্ ধাতু : (বর্তমান কাল) আছে, আছেন, আছ, আছিয়া, আছি। (অতীত কালে) ছিল, ছিলেন, ছিলে,
ছিলি, ছিলাম।
৩.
নহ্ ধাতু (বর্তমান কালে) : নয়, নহে, নহেন, নন, নহ, নও, নহস, নহিস, নস, নহি, নই।
৪.
থাক (রহ) ধাতু-(বর্তমান কালে) : থাকে, থাকেন, রহেন, থাক, (রও), থাকিস, (রস, রোস, রহিস),
থাকি, (থাকি), (রয়) ইত্যাদি।
ধাতুর গণ বলতে কী বুঝায়
সাধারণত
‘গণ’ শব্দের অর্থ শ্রেণি। কিন্তু ধাতুর ‘গণ” বলতে ধাতুগুলোর বানানের ধরনকে বোঝায়। ধাতুর গণ
ঠিক করতে দুটো বিষয় লক্ষ রাখতে হয়। যেমন : ক. ধাতুটি কয়টি অক্ষরে গঠিত? খ. ধাতুর
প্রথম বর্ণে সংযুক্ত স্বরবর্ণটি কী?
বাংলা
ভাষায় সমস্ত ধাতুকে বিশটি গণে ভাগ করা হয়েছে। যথা :
১.
হ- আদিগণ : হ (হওয়া), ল (লওয়া), ক্ষ (ক্ষয় পাওয়া) ইত্যাদি।
২.
খা- আদিগণ : খা (খাওয়া), ধা (ধাওয়া), পা (পাওয়া), যা (যাওয়া)।
৩.
দি - আদিগণ : দি (দেওয়া), নি (নেওয়া) ইত্যাদি।
৪.
শু- আদিগণ : শু (শোয়া), চু (চোঁয়ানো), নু (নেয়ানো), ছুঁ (ছোয়া)।
৫.
কর্- আদিগণ : কর্ (করা), কম্ (কমা), গড়ু (গড়া), চল্ (চলা) ইত্যাদি।
৬.
কহ্- আদিগণ : কহ্ (কহা), সহ্ (সহা), বহ্ (বহা) ইত্যাদি।
৭.
কাট্- আদিগণ : গাঁথ, চাল, আক্, বাঁধ, কাঁদ্ ইত্যাদি।
৮.
গাহ্- আদিগণ : চাহ্, বাহ্, নাহ্, (নাহান, স্নান) ইত্যাদি।
৯.
লিখ্- আদিগণ : কিন্, ঘি, জিত্, ফির্, ভিডু, চিন্, ইত্যাদি।
১০.
উঠ- আদিগণ : উডু, শুন্, ফুট্, খুঁজ্, ডুব্, তুল্ ইত্যাদি।
১১.
লাফা- আদিগণ : কাটা, ডাকা, বাজা, আগা (অগ্রসর হওয়া) ইত্যাদি।
১২.
নাহা- আদিগণ : গাহা ।
১৩.
ফিরা- আদিগণ : ছিটা, শিখা, ঝিমা, চিরা ইত্যাদি।
১৪.
ঘুরা- আদিগণ : উঁচা, লুকা, কুড়া (কুড়াচ্ছে) ইত্যাদি।
১৫.
ধোয়া- আদিগণ : শোয়া, খোচা, খোয়া, গোছা, যোগা ইত্যাদি।
১৬.
দৌড়- আদিগণ : পৌঁছা, দৌড় ইত্যাদি।
১৭.
চট্কা- আদিগণ : সম্ঝা, ধম্কা, কচলা ইত্যাদি।
১৮.
বিগড়া- আদিগণ : হিঁচড়া, ছিকা, সিকা ইত্যাদি।
১৯.
উল্টা- আদিগণ : দুমড়া, মুড়া, উচা ইত্যাদি ।
২০.
ছোলা-আদিগণ : কোঁচকা, কোঁকড়া, কোলা ইত্যাদি ।
ধাতু চিহ্নিত করার উপায়
ধাতুর
সঙ্গে প্রত্যয় ও বিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ সৃষ্টি করা হয়। প্রচলিত ও সাধারণভাবে
বহুল পরিচিত কিছু ধাতু বা ক্রিয়ামূল চিহ্নিত করার প্রধান উপায় হলো : বর্তমান কালের
অনুজ্ঞার তুচ্ছার্থক মধ্যম পুরুষের ক্রিয়ার রূপ চিহ্নিত করা। এই রূপ আর ধাতুরূপ অভিন্ন
বলে এটি চিহ্নিত করা গেলে ধাতু বা ক্রিয়ামূল চিহ্নিত হয়ে যায়। যেমন : (তুই) কর্,
খা, ডাক, দেখ, লেখ ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি ধাতু কাকে বলে উদাহরণসহ বিস্তারিত এই আর্টিকেলটি তোমার সফলতায় অবদান রাখবে। তোমার কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ হাফেজ...