গুরুত্বপূর্ণ বাক্য সংকোচন/এক কথায় প্রকাশ

একটি বাক্য বা বাক্যাংশকে অর্থ অপরিবর্তিত রেখে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করার পদ্ধতিকে এক কথায় প্রকাশ বলে। যেমন: অন্বেষণ করবার ইচ্ছা - অন্বেষা। নিচের আর্টিকেলে বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষা, বিসিএস পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে এক কথায় প্রকাশ গুলো দেওয়া হয়েছে যা এসকল পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এক কথায় প্রকাশ
এক কথায় প্রকাশ

এক কথায় প্রকাশ কী?

বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ হলো কোনো বাক্য বা বাক্যাংশকে একপদীকরণ বা একশব্দে প্রকাশ করা। অর্থাৎ পদগুলোর অর্থসঙ্গতি অক্ষুণ্ণ রেখে বাক্যের সম্পূর্ণ ভাবকে একটিমাত্র পদ দ্বারা প্রকাশ করার নামই বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশ

বাক্য সংকোচন বা এক কথায় প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা

বক্তব্যকে সংক্ষিপ্ত, অর্থপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করতে এক কথায় প্রকাশ একান্ত প্রয়োজন। এ প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলো :

ক. এক কথায় প্রকাশ বাক্যের মূল অর্থ ঠিক রেখে বক্তব্যকে আরো সহজ, সুন্দর, সাবলীল ও প্রাঞ্জল করা যায়।

খ. এক কথায় প্রকাশের মাধ্যমে উচ্চারণ সংক্ষিপ্ত, আকর্ষণীয় ও ছন্দময় হয়।

গ. এক কথায় প্রকাশের মাধ্যমে বাক্য ও অর্থের শ্রুতিমাধুর্য ও ওজোগুণের সম্প্রসারণ ঘটে।

ঘ. বিষয় ও ভাব অপরিবর্তিত রেখে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার উপায় হিসেবে এক কথায় প্রকাশের বিকল্প নেই।

ঙ. এক কথায় প্রকাশের মাধ্যমে বাক্যের অর্থের কোনো পরিবর্তন হয় না বরং অর্থ সম্পূর্ণভাবে রক্ষিত থাকে, ফলে বাক্যের অর্থ আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

অ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয় না এমন নারী - অনন্যা।

অগ্নি উৎপাদনের কাঠ - অরণি।

অন্য কর্তৃক বিবাহিতা - পরোঢ়া।

অনেক অভিজ্ঞতা আছে যার - ভূয়োদর্শী।

অন্ধকার রাত্রি - তামসী।

অরণ্যের অগ্নিকাণ্ড - দাবানল / দাবাগ্নি ।

অতি উচ্চ ধ্বনি - মহানাদ ।

অতিশয় রক্ষণশীল - দুর্মর ।

অতি নিপুণ কারিগর - ওস্থাগর ।

অন্য সহায় নেই যার - অনন্যসহায় ।

অতি বৃদ্ধ নারী - বড়ায়ি।

অঙ্গের সঙ্গে বর্তমান - স্বাঙ্গ ।

অজকে গ্রাস করে যা - অজগর।

অন্য কোনো কর্ম নেই যার - অনন্যকর্মা।

অন্য গতি নেই যার - অগত্যা।

অশ্ব রাখার স্থান - আস্তাবল।

অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি - করিতকর্মা, ধুরন্ধর।

অব্যক্ত মধুর যে ধ্বনি - কলতান।

অলঙ্কারের ধ্বনি - শিঞ্জন।

অনেকের মধ্যে একজন - অন্যতম।

আ - এক কথায় প্রকাশ

আদরিণী কন্যা - দুলালী।

আকস্মিক দুর্দৈব - উপদ্রব।

আরম্ভ করা হয়েছে এমন - আরব্ধ।

আভিধানিক অর্থ ছাড়া অন্য অর্থের দ্যোতনা - ব্যঞ্জনা।

আঘাতের বিপরীত - প্রতিঘাত।

আদব কায়দায় যে চৌকস কিন্তু নিষ্কর্মা - লেফাফাদুরস্ত।

আকাশ ও পৃথিবী - ক্রন্দসী।

আহ্বান করা হয়েছে যাকে - আহূত।

আত্মার সম্বন্ধীয় বিষয় - আধ্যাত্মিক।

আপনার রঙ যে লুকায় - বর্ণচোরা।

আরোহণ করেছে এমন - আরূঢ়।

আপনাকে পণ্ডিত মনে করে যে - পণ্ডিতম্মন্য।

আশা ভঙ্গজনিত খেদ - বিষাদ ।

আট মাসে জন্মেছে যে - আটাশে।

আড় চোখে চাউনি - কটাক্ষ।

আঙুর ফল - দ্রাক্ষা ।

ই, ঈ- এক কথায় প্রকাশ

ইহলোকে সামান্য নয় - অলোকসামান্য।

ইন্দ্রিয়ের সংযম - দম।

ইন্দ্রের অশ্ব - উচ্চৈঃশ্রবা।

ইষ্টক নির্মিত গৃহ - অট্টালিকা।

ইতিহাস রচনা করেন যিনি - ঐতিহাসিক।

ইতঃপূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি - দাগি

ঈষৎ চঞ্চল - আলোল।

ঈষৎ পাংশুবর্ণ - ধূসর।

ঈষৎ লাল হয়েছে এমন - আরক্তিম।

ঈষৎ আমিষ গন্ধ যার - আঁষটে।

ঈষৎ হাস্য - স্মিত।

ঈষৎ উষ্ণ - কবোষ্ণ।

উ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

উপমা নেই যে নারীর - নিরুপমা।

উৎসবের নিমিত্ত নির্মিত গৃহ- মণ্ডপ। 

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন - ঋকথ।

উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার- প্রত্যুৎপন্নমতি।

উপদেশ ছাড়া লক প্রথম জ্ঞান - উপজ্ঞা।

উরস বা বুকে ভর দিয়ে চলে যে- উরগ।

উচ্চস্থানে অবস্থিত ক্ষন কুটির - টঙ্গি।

উটের/হস্তীর শাবক - করভ ।

উচ্চ শব্দ - নির্ঘোষ।

উপরতলার ঘর - বালাখানা।

উচিতের অভাব - অনৌচিত্য।

উলুউলু ধ্বনি - অলোলিকা।

উপমা নেই যার - অনুপম

উড়ন্ত পাখির ঝাঁক - বলাকা।

ঊ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ঊর্ধ্বে গমনশীল - ঊর্ধ্বগামী।

ঊর্ধ্ব থেকে নেমে আসা - অবতরণ।

ঊর্ধ্বমুখে সাঁতার- চিৎ সাঁতার।

উরুর হাড়— ঊবস্থি।

ঋ - দিয়ে বাক্য সংকোচন

ঋষির উক্তি - আর্য।

ঋষির ন্যায়- ঋষিকল্প।

ঋণ দেয় যে - উত্তমর্ণ।

ঋতুতে ঋতুতে যজ্ঞ করেন যিনি - ঋত্বিক।

ঋণ নেয় যে - অধমর্ণ ।

এ, ঐ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

এক স্ত্রী সত্ত্বেও পুরুষের দ্বিতীয়বার বিবাহ - অধিবেদন।

একের পরিবর্তে অপরের সই - বকলম।

এক ভাষার মধ্যে অন্য ভাষার প্রয়োগ - বুকনি।

একগুঁয়ে লোকের যুক্তিহীন তর্ক - এঁড়েতর্ক।

এক যুগের সারা, অন্য যুগের শুরু - যুগসন্ধি।

একই সময়ে বর্তমান - সমসাময়িক

একা একা কথা বলা - স্বগতোক্তি।

একই পথের পথিক - হামরাহী।

ঐক্যের অভাব আছে যাতে - অনৈক্য।

একই সময়ে - যুগ‍পৎ। 

ঐশ্বর্যের অধিকারী যিনি - ঐশ্বর্যবান।

একান্ত অনুগত বা ভক্ত - নেওটা।

ও, ঔ দিয়ে - এক কথায় প্রকাশ

ওষ্ঠ ও অধর - ওষ্ঠাধর।

ওষধি থেকে উৎপন্ন - ঔষধ।

ওষ্ঠ দ্বারা উচ্চার্য বর্ণ - ঔষ্ঠ্য।

ঔষধ সংযোগে রক্ষিত মৃতদেহ - মমি।

ওষ্ঠের নিকট আগত - ওষ্ঠাগত।

ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য - অনুপান।

ঔষধকেই যে জীবিকারূপে গ্রহণ করেছেন - ঔষধজীবী

ঔষধ সম্বন্ধীয় - ঔষধীয়। 

ঔষধের বিপণি - ঔষধালয়।

আরো পড়তে পারেন

ক, ক্ষ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

কামনা দূর হয়েছে যার - বীতকাম।

কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথি - অমাবস্যা।

করুণা আছে যার - কারুণিক।

কিছু করতে ইচ্ছুক - চিকীর্ষু।

কোনো লেখনের ছেঁড়া অংশ - কুপন।

কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ - অধঃকায়।

কপালে আঁকা তিলক - রসকলি।

কর্মে যার ক্লান্তি নেই - অক্লান্ত।

কুবেরের ধন রক্ষক - যক্ষ।

কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত দৈর্ঘ্য - রত্নি।

কারো অপেক্ষা রাখে না যে - নিরপেক্ষ।

কোনো বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে - বীতশ্রদ্ধ।

কালো হলুদের মিশানো রং - কপিশ।

কুল ত্যাগ করে যে - কুলটা।

কুমারীর পুত্র - কানীন।

ক্রয় করা উচিত যা - ক্রেতব্য।

ক্রমাগত অশ্রু ঝরছে এমন - গলদশ্রু

কাঠ কাটে যে - কাঠুরে।

ক্রীড়নশীল তরঙ্গ - চলোর্মি ।

কাঠের দ্বারা নির্মিত - কাঠরা।

কূপের ব্যাঙের মতো স্থূলবুদ্ধি যার - কূপমণ্ডূক

কর্কশ ধ্বনি - ক্রেঙ্কার।

কুকুরের ডাক - বুক্কন।

ক্ষণে ক্ষণে যার খেয়াল বদলায় - খামখেয়ালি।

ক্ষীণ প্রতিধ্বনির বিস্তার - অনুরণন।

ক্ষতিপূরণের জন্য প্রদত্ত অর্থাদি- খেসারত।

ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ব্যোম -পঞ্চভূত।

ক্ষমা করার ইচ্ছা - তিতিক্ষা, চিক্ষমিষা।

ক্ষুদ্র জাতীয় বকবিশেষ - বলাক

খ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

খাজনা আদায় করে যে - খাজাঞ্চি ।

খুব দীর্ঘ নয় - নাতিদীর্ঘ ।

খেয়াপার করে যে - পাটনী।

খরচের হিসাব নেই যার - বেহিসেবি।

গ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

গজের মুখের মতো মুখ যার - গজানন ।

গমন করতে পারে যে - জঙ্গম।

গমনের ইচ্ছা - জিগমিষা ।

গভীর রাত্রি - নিশীথ ।

গর্দভের বাসস্থান - খরশাল।

গুরুর পত্নী - গুর্বী।

গুরুর ভাব - গরিমা।

গোপন করার ইচ্ছা - জুগুপ্সু ।

গ্রন্থাদির অধ্যায় - স্কন্ধ ।

গ্রহণ করার ইচ্ছা - জিঘৃক্ষা ।

গ্রন্থাদির টীকা - দীপিকা ।

গো দোহনকারী কন্যা - দুহিতা।

ঘ -দিয়ে বাক্য সংকোচন

ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ - পরিমল।

ঘোড়ার কদমের শব্দ - দড়বড়।

ঘোড়ার ডাক- হ্রেষা।

ঘ্রাণের যোগ্য - ঘ্রেয়।

চ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

চিত্তের তৃপ্তিদায়ক - দিলখোশ।

চর্বিত খাদ্যের পুনরায় চর্বণ - জাবর।

চোখের দ্বারা গৃহীত - গোচর।

চর্চা করা হয়নি এমন - অননুশীলিত।

চিবিয়ে খেতে হয় যা - চর্ব্য।

চুষে খাওয়া হয় যা - চূষ্য।

চুক্তির নিয়ন্ত্রক নিয়ম - শর্ত।

চৌত্রিশ বর্ণের স্তব - চৌতিশা।

চেঁটে খাওয়ার যোগ্য - লেহ্য।

চক্ষুর নিমেষকাল- পলক

চক্ষুকর্ণ প্রভৃতি দ্বারা যা জানতে পারা যায় না - অতীন্দ্রিয়

চোখের কোণ - অপাঙ্গ।

চৈত্র মাসের ফসল - চৈতালি।

চোখের সুখ - প্রিয়দর্শন।

ছ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ছয় মাস অন্তর ঘটে - ষাণ্মা‌সিক।

ছন্দে নিপুণ যিনি - ছান্দসিক।

ছেলে ধরে যে - ছেলেধরা।

ছিন্ন বস্ত্র - চীর।

ছুতারের বৃত্তি (কাজ) - তক্ষণ।

ছেঁড়া হয়েছে এমন - ছিন্ন।

জ, ঝ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

জতুনির্মিত গৃহ - জতুগৃহ ।

জয়সূচক যে উৎসব - জয়ন্তী।

জ্যেষ্ঠভ্রাতা ব্যতিরেকে কনিষ্ঠের বিবাহ - পরিবেদন।

জানু পর্যন্ত লম্বিত - আজানুলম্বিত।

জ্বলজ্বল করছে যা - জাজ্বল্যমান।

জেনেও যে পাপ করে - জ্ঞানপাপী।

জনরব শুনে যে হাজির হয় - রবাহূত।

ঝড়ের প্রচণ্ড ধাক্কা - ঝাপটা।

ঝট করে টান - ঝটকা।

জরাগ্রস্ত হয় না এমন - অজর।

জয় করা হয়েছে - জিত।

জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান - সজ্ঞান।

জানা যায় না যা - অজ্ঞেয়।

জন্মেনি যে - অজ।

জন্মকাল হতে - জন্মাবধি।

জটা আছে যাতে - জটিল।

ঝন ঝন শব্দ - ঝঙ্কার/ঝনৎকার।

ঝাড়মোছ হয় যার দ্বারা - ঝাড়ন।

ট, ঠ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

টোল পড়েনি এমন - নিটোল।

ঠাকুরের ভাব - ঠাকুরানি।

টাইমের বাইরে - বেটাইম

ঠান্ডায় পীড়িত - শীতার্ত

ড, ঢ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ডোম জাতীয়া স্ত্রীলোক - ডোম্বী।

ঢেউয়ের ফলে ছলাৎছলাৎ শব্দ- ছলচ্ছল।

ঢোঁক গিলে কথা বলা - ইতস্থত করা।

ডালিমের কুঁড়ি - আনারকলি।

ঢাক বাজায় যে - ঢাকী

ঢিপির মতো - ঢেপসা।

ত, থ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

তন্তু থেকে জাত - তন্তুজ।

তিন ভাগের এক ভাগ- তেহাই।

তোমার মতো- ত্বাদৃশ।

তুষের আগুনের মতো মর্মদাহী - তুষানল।

তল স্পর্শ করা যায় না যার - অতলস্পর্শী।

থাবার আঘাত- থাপড়/ থাপ্পড়।

ত্যাগ করা হচ্ছে এমন - ত্যাজ্য।

ত্বরায় গমন করে যে - তুরগ।

ত্রাণ করেন যিনি - ত্রাতা।

তুলা থেকে তৈরি - তুলট ।

তোপের ধ্বনি - গুড়ুম।

থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি - ঠমক।

দ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল - দোয়াব ।

দমন করা যায় না যাকে - অদম্য।

দমন করা কষ্টকর যাকে - দুর্দমনীয় ।

দুটি মাত্র দাঁত যার - দ্বিরদ (হাতি)।

দাড়ি জন্মেনি যার - অজাতশ্মশ্রু।

দূর ভবিষ্যৎ ভেবে দেখে না যে - অদূরদর্শী।

দর্প নাশ করে যে - দর্পনাশী/দর্পহারী।

দাঙ্গা, খুন-জখম ইত্যাদির স্থান - অকুস্থল।

দ্বিতীয়বার বিবাহিতা স্ত্রীর স্বামী - দিধিষু।

দুগ্ধ ফেনার মতো শুভ্র - দুগ্ধফেননিভ।

দিনে একবার আহার করে যে - একাহারী।

দেহে, মনে ও কথায় - কায়মনোবাক্যে ।

দ্বীপে জন্ম হয়েছে যার - দ্বৈপায়ন।

দু'বার ফল ধরে যে গাছে - দোফলা।

দু মনুর শাসনের সন্ধিকাল - মন্বন্তর।

দুয়ের মধ্যে এক - অন্যতর।

দেখার ইচ্ছা - দিদৃক্ষা।

দণ্ড দিবার যোগ্য - দণ্ডনীয়, দণ্ডার্হ।

দু রথীর যুদ্ধ - দ্বৈরথ।

দোহনের যোগ্য - দোহনীয়।

দ্রব হয়েছে যা - দ্রবীভূত।

দান করার ইচ্ছা - দিৎসা।

দান করা উচিত  - দাতব্য ।

দারুণ মানসিক দুঃখ - অন্তর্দাহ।

ধ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ধনের দেবতা - কুবের।

ধূলার মতো রং যার - পাংশুল।

ধীরে যে গমন করে - ধীরগামী/মন্দগামী।

 ধী শক্তির অধিকারী - ধীমান ।

ধোয়ার ন্যায় বর্ণযুক্ত - ধোঁয়াটে ।

 ধ্যানে মগ্ন যিনি - ধ্যানস্থ

ধূলায় পরিণত- ধূলিসাৎ

ধার করতে ইচ্ছুক- ঋণপ্রার্থী

আরো পড়তে পারেন

ন - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

নিক্ষিপ্ত হচ্ছে এমন - ক্ষিপ্যমাণ।

নির্মাণ করার ইচ্ছা - নির্মিৎসা।

নীলবর্ণ বানর - উল্লুক।

নির্ভুল মুনিবাক্য - আপ্তবাক্য।

নিজের দ্বারা অর্জিত - স্বোপার্জিত।

নূপুরের ধ্বনি - নিক্বণ ।

নারীর লীলায়িত নৃত্য - লাস্য।

ন্যায়শাস্ত্র জানেন যিনি - নৈয়ায়িক।

নিন্দার যোগ্য নয় যা - অনিন্দনীয়।

নিবারণ করা যায় না এমন - অনিবার্য।

নিতাণ্ড় দগ্ধ হয় যে সময়ে- নিদাঘ ।

নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে - স্বয়ম্ভূ ।

প - দিয়ে বাক্য সংকোচন

পরকে প্রতিপালন করে যে– পরভৃৎ (কাক)।

পুরুষের কর্ণভূষণ - বীরবৌলী ।

পরের দ্বারা প্রতিপালিত যে - পরভৃত।

পরিব্রাজকের ভিক্ষা - মাধুকরী।

পরিমাণ মতো খায় যে- মিতাহারী।

প্রথম স্ত্রী থাকিতে দ্বিতীয় দার গ্রহণ - অধিবিন্না।

পরের ছিদ্র অন্বেষণ করা স্বভাব যার - ছিদ্রান্বেষী।

পেতে ইচ্ছা- ঈপ্সা।

পদ্মের ন্যায় অক্ষি যার - পুণ্ডরীকাক্ষ।

প্রবেশ করার ইচ্ছা - বিবিক্ষা।

পূর্বে যা চিন্তা করা হয়নি - অচিন্তিতপূর্ব।

প্রতিবিধান করতে ইচ্ছুক - প্রতিবিধিৎসু।

পূর্বে সুপ্ত পরে উত্থিত - সুপ্তোত্থিত।

পাজরের হাড় কম যার - ঊনপাঁজুরে।

পাহাড় থেকে অবতরণের পথ -উতরাই।

পায়ে হেঁটে যে গমন করে না - পন্নগ।

পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা - পার্থিব।

পঙক্তিতে বসার অযোগ্য- অপাঙ্ক্তেয়।

পূজা পাওয়ার যোগ্য - পূজাই ।

পূর্ণিমার চাঁদ - রাকা, পূর্ণেন্দু।

পূর্ব ও পরের অবস্থা - পৌর্বাপর্য।

পূর্বে ছিল, এখন নেই - ভূতপূর্ব।

পট চিত্র আঁকে যে - পটুয়া।

পদ্মের ডাঁটা বা নাল - মৃণাল।

পাখির ডাক - কুজন।

পূর্বকাল সম্পর্কিত - প্রাক্তন।

পড়ার উপযুক্ত - পঠিতব্য ।

প্রদীপ শীর্ষের কালি - অঞ্জন।

পান করার যোগ্য নয় - অপেয়।

পথ চলার খরচ - পাথেয়।

ফ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ফুল হতে জাত- ফুলেল।

ফেনাসহ বর্তমান - সফেন।

ফল প্রসব করে যে - ফলপ্রসূ।

ফিকা - কমলা রং - বাসন্তী

ব - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

বীণার ঝঙ্কার - নিক্বণ।

বৃহৎ অরণ্য - অরণ্যানী।

বিধবা হওয়ার পর পুনরায় বিবাহ -পুনর্ভূ।

বছর শেষে আয়-ব্যয়ের প্রতিবেদন - সালতামামি।

বালো প্রৌঢ় তুল্য আচরণকারী - ইচড়ে পাকা।

বিহায়সে গমন করে যে - বিহঙ্গ/বিহা।

বিদগ্ধ জ্ঞান সম্বন্ধ আছে যার - বিদুর।

বীরসন্তান প্রসব করে যে - বীরপ্রসূ।

বাক্যের দ্বারা কৃতকলহ - বচসা।

বায়ু চলাচলের ক্ষুদ্র পথ - গবাক্ষ।

বিজয় লাভের ইচ্ছা - বিজিগীষা।

বীজ বপনের উপযুক্ত সময় - জো।

ব্যবসায়ের দ্রব্যাদি - বেসাত।

ব্যাঙের ডাক - মকমক।

বিবাদ করে যে - বিবদমান।

বাঁচতে ইচ্ছা - জিজীবিষা।

বাস করার ইচ্ছা - বিবৎসা।

বপন করা হয়েছে - উপ্ত।

বলার ইচ্ছা - বিবক্ষা।

বলা হবে এমন - বক্ষ্যমাণ।

ভ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ভিতর থেকে গোপনে ক্ষতিসাধন - অন্তর্ঘাত।

ভোগ যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি লাভ - নির্বাণ ।

ভুজের সাহায্যে চলে যে - ভুজগ।

ভবিষ্যতে যা ঘটবে - ভবিতব্য।

ভ্রমরের শব্দ - গুঞ্জন।

ভোজন করতে ইচ্ছুক - বুভুক্ষু ।

ভস্মে পরিণত হয়েছে যা - ভস্মীভূত।

 ভাবা যায় না - অভাবনীয় ।

ম - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ময়ূরের ডাক - কেকা ।

মনোগত ইচ্ছা - ঈন্সিত ।

মনে জন্ম যার - মনসিজ/মনোজ।

মর্মকে ভেদকারী - মর্মভেদী।

মর্মে বেদনা দেয় যা - মর্মান্তিক, মর্মস্তুদ।

মনুষ্যলোকে সাধারণ নয় এমন - অলোকসামান্য।

মাসের শেষ দিন - সংক্রান্তি।

মুক্তি পেতে ইচ্ছুক - মুমুক্ষু ।

মর্ম স্পর্শ করে যা - মর্মস্পর্শী।

মন হরণ করে যা - মনোহর।

মেঘের ধ্বনি - জীমূতমন্দ্র।

মাছির অভাব - নির্মক্ষিক।

মেঘে আচ্ছন্ন হওয়ার ফলে স্নিগ্ধ - মেঘমেদুর।

মৃৎ অঙ্গ যার - মৃদঙ্গ।

য - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

যে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না - স্থাবর।

যে স্ত্রীর বশীভূত - স্ত্রৈণ।

যে নারীর কথায় কোনো সংকোচ নেই - প্রগলভা।

যাতে একটি মাত্র তান - ঐকতান।

যে নারীর হাসি শুচি - শুচিস্মিতা।

যে মহৎকর্মে সিদ্ধি লাভ করে - কর্মবীর।

যাকে ডাকা (আহূত) হয়নি - অনাহূত।

যে পুরুষ বিবাহ করেছে - কৃতদার।

যে দ্বিতীয়বার বিবাহ করে - দোজবরে।

যে পা দ্বারা পান করে - পাদপ (বৃক্ষ)।

যে কুৎসা রটায় - পিশুন।

যে কথা ঠিক রাখে - বাঙ্নিষ্ঠ।

যার হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছে - বিদীর্ণহৃদয়।

যাহার অনুরাগ দূর হইয়াছে - বীতরাগ।

যা গতিশীল - জঙ্গম।

যে উপাসনা করছে - ভজমান।

যে আলোতে কুমুদ ফোটে - কৌমুদী।

যা পূর্বে শোনা যায়নি - অশ্রুতপূর্ব।

যে বৃক্ষ সকল বাঞ্ছা পূরণ করেন - বাঞ্ছাকল্পতরু।

যে সুপথ থেকে কুপথে যায় - উন্মার্গগামী।

যা হৃদয়ে গমন করে - হৃদয়ঙ্গম।

যে বিদ্যা লাভ করেছে - কৃতবিদ্য।

যা অদূর ভবিষ্যতে হওয়ার কোনো আশা নেই - সুদূএপরাহত।

যে সন্তান পিতার মৃত্যুর পর জন্মে -মরণোত্তরজাতক ।

যে কোনো বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে - বীতস্পৃহ।

যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে - কাকবন্ধ্যা ।

যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয় - স্বয়ম্বরা

যা সারাদিন ব্যবহার করা হয় - আটপৌরে।

যা সহজে দমন করা যায় না - দুর্দম।

যার প্রভা ক্ষণকাল স্থায়ী - ক্ষণপ্রভা (বিদ্যুৎ)।

যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে - বর্ধিষ্ণু।

যে বৃক্ষের ফুল হয় না কিন্তু ফল হয় - বনস্পতি।

যে ব্যক্তি দ্বার রক্ষার জন্য নিযুক্ত - দৌবারিক।

যা সহজে মরে না - দুর্মর।

যিনি বাক্যে অতি দক্ষ - বাচস্পতি।

যুদ্ধ থেকে পলায়ন করে না যে সৈন্য - সংশপ্তক।

যে বেঁচে থেকেও মৃতবৎ - জীবন্মৃত

যে রমণী পূর্বে অন্যের বাগদত্তা বা পত্নী ছিল - অন্যপূর্বা

যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু -বন্ধুর।

যে মেয়ের বিয়ে না দিয়ে আর রাখা যায় না - অরক্ষণীয়া ।

যিনি যুদ্ধে স্থির থাকেন - যুধিষ্ঠির।

যিনি ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমানের বৃত্তান্ত জানেন - ত্রিকালজ্ঞ।

যা সরোবরে জন্মে - সরোজ।

যা বপন করা হয়নি - অনুপ্ত।

যা লঙ্ঘন করা যায় না - অলঙ্ঘ্য, অলঙ্ঘনীয়।

যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ - শ্বাপদসংকুল।

যে আঘাত পায়নি - অনাহত।

যে মেয়ের বিয়ে হয়নি - অনূঢ়া।

যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয় - ব্যয়বহুল।

যার ঘৃণা নেই - নির্ঘৃণ।

যে গাছ ফল পাকলে মরে যায় - ওষধি।

যা সহজে পোড়ানো যায় - দাহ্য।

যা দীপ্তি পাচ্ছে - দীপ্তিমান।

যা হবে - ভাবী, ভবিষ্যৎ।

যিনি প্রথমে পথ দেখান - পথিকৃৎ।

যে পরের গুণেও দোষ ধরে - অসূয়ক।

যে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না - অপরিণামদর্শী।

যে রূপ ইচ্ছা - যদৃচ্ছা।

যার চারিদিকে স্থল - হ্রদ।

যে আকৃষ্ট হচ্ছে - কৃষ্যমাণ

যে গাছের ছায়া বিস্তর হয় - ছায়াতরু।

যিনি অতিশয় হিসাবি - পাটোয়ারি।

র - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

রন্ধনের যোগ্য - পাচ্য।

রস আস্বাদন করা হয় যার দ্বারা - রসনা।

রাত্রিকালীন যুদ্ধ- সৌপ্তিক ।

রঙ্গমঞ্চে দর্শনীয় চিত্রপট - দৃশ্যপট।

রেশমের তৈরি- রেশমি।

রাহ বা রাস্তায় ডাকাতি - রাহাজানি।

রোগাও নয় মোটাও নয় - দোহারা ।

রোজ উপার্জন - রুজি।

রমণের ইচ্ছ - রিরংসা 

রাত্রি ও দিবসের সন্ধিক্ষণ - সন্ধ্যা।

রোদে শুকানো আম - আমসি।

রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে বেড়ায় যে - হাতুড়ে।

ল - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

লয় প্রাপ্ত হয়েছে যা - লীন।

লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা।

লাফিয়ে চলে যে - প্লবগ।

লবণ মিশ্রিত সমুদ্র - লবণাম্বুধি।

শ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

শকুন্ত পাখির দ্বারা লালিত কন্যা - শকুন্তলা।

শোনার জন্য অতিশয় ব্যগ্র - উৎকর্ণ।

শত পাপড়ি বিশিষ্ট - শতদল।

শ্রম হেতু সর্বাঙ্গ থেকে ঘাম নিঃসরণ - গলদধর্ম।

শত্রুকে জয় করে যে - শত্রুজিৎ।

শুনলেই যার মনে থাকে - শ্রুতিধর।

শিক্ষা গ্রহণ করছে যে - শিক্ষানবিশ।

শোনা হচ্ছে যা - শ্রুয়মাণ।

ষ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

ষাঁড়ের চেহারা তুল্য - ষণ্ডামার্কা।

ষেটে ধানের ভাত - ষষ্ঠিকান্না।

ষোলো সংখ্যা পূরক - ষোড়শ।

ষোলো বছর বয়স্ক নারী - ষোড়শী।

স - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

সর্বত্র গমন করে যে - সর্বগ।

সকলের জন্য প্রযোজ্য - সার্বজনীন।

সকলের জন্য কল্যাণকর - সর্বজনীন।

সংস্কারবিহীন ব্যক্তি - ব্রাত্য।

সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ - কল্লোল।

স্বাদ গ্রহণ করা হয়েছে এমন - স্বাদিত।

সম্মুখের কুঞ্চিত কেশ - অলক।

সাপের খোলস - নির্মোক।

সুদে টাকা খাটানো - তেজারতি।

সৃষ্টি করার ইচ্ছা - সিসৃক্ষ ।

স্বর্ণকারের মজুরি - বানি।

স্বামীর চিতায় পুড়ে মরা - সহমরণ।

হ - দিয়ে এক কথায় প্রকাশ

হরেক রকম বলে যে - হরবোলা।

হরণ করার ইচ্ছা - জিহীর্ষা।

হনন করার ইচ্ছা - জিঘাংসা।

হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড - অঙ্কুশ।

হরিণের চামড়া - অজিন।

হাতির পা বাঁধার শিকল- আন্দু।

হস্তীর চিত্কার- বৃংহিত।

হাতের চতুর্থ অঙ্গুলি - অনামিকা।

হাস্যরসাত্মক নাটক - প্রহসন।

হাতির শাবক - করভ।

হেমন্তে জাত - হৈমন্তিক।

হাতের প্রথম আঙুল - অঙ্গুষ্ঠ।

বৈচিত্রপূর্ণ কিছু বাক্য সংকোচন

বর্ষপূর্তির আনুষ্ঠানিক নাম 

পঁচিশ বছর পূর্তিতে হয় - রহত জয়ন্তী।

পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে হয় - সুবর্ণ জয়ন্তী।

ষাট বছর পূর্তিতে হয় - হীরক জয়ন্তী।

পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে হয় - প্লাটিনাম জয়ন্তী।

একশত বছর পূর্তিতে হয় - শতবর্ষ।

একশত পঞ্চাশ বছর পৃষ্ঠিতে হয় - সার্ধশতবর্ষ।

অক্ষি সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

অক্ষির সমীপে - সমক্ষ।

অক্ষির অভিমুখে - প্রত্যক্ষ।

অক্ষির অগোচরে - পরোক্ষ।

অক্ষি বা চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত - চাক্ষুষ।

শত্রু সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

অরি বা শত্রুকে দমন করেন যিনি - অরিন্দম।

শত্রুকে জয় করেন যিনি - শত্রুজিৎ বা পরঞ্জয়।

অরি বা শত্রুকে হত্যা করেন যিনি -  শত্রুঘ্ন।

শত্রুকে পীড়া বা কষ্ট দেন যিনি - পরন্তপ।

বর্ণ সম্পর্কিত বাক্য সংকোচন

নীল বর্ণের যে পদ্ম - ইন্দিবর।

রক্ত লাল বর্ণের যে পদ্ম - কোকনদ।

শ্বেতবর্ণের পদ্ম- পুণ্ডরীক।

রূপান্তর সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

অন্য লিপিতে রূপান্তর - লিপান্তর।

অন্য ভাষায় রূপান্তর - অনূদিত।

দিবস সম্পর্কিত বাক্য সংকোচন

দিবসের/ অহ্নের পূর্বভাগ - পূর্বাহ্ণ।

দিবসের/অহ্নের মধ্যভাগ - মধ্যাহ্ন।

দিবসের/ অহ্নের অপরভাগ - অপরাহ্ণ।

দিবসের/অহ্নের সায় বা অবসান ভাগ - সায়াহ্ন।

উচ্চারণ সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

যা উচ্চারণ করা যায় না - অনুচ্চার্য।

যা উচ্চারণ করা কঠিন - দুরুচ্চার্য।

যা সহজে উচ্চারণ করা যায় - সুরুচ্চার্য।

গতি সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

যা গতিশীল - জঙ্গম।

যা গতিশীল নয় - স্থাবর।

অন্য কোনো গতি নেই যার - অনন্যগতি।

উর্ধ্বদিকে গতি যার - ঊর্ধ্বগতি।

অতি সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

অতি নিপুণ কারিগর - ওস্তাগর।

অতি রমণীয় - সুরম্য।

অতি আসন্ন - প্রত্যাসন্ন।

অতি নিকৃষ্ট নর - নরাধম ।

তুল্য সম্পর্কিত এক কথায় প্রকাশ

দেবতার তুল্য - দেবোপম

ঋষির তুলা - ঋষিতুল্য

আমাদের শেষ কথা

আশা করি এক কথায় প্রকাশ/বাক্য সংকোচন গুলো তোমার সফলতায়  অবদান রাখবে। তোমার কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ হাফেজ...

 আরো পড়তে পারেন

জুয়েল

আমি বিশ্বাস করি শিক্ষা কোনো বাণিজ্যিক পণ্য নয়। শিক্ষা সকলের অধিকার। আসুন আমরা প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন জয়ের সারথি হই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন