মনের ভাব সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশের জন্য ক্রিয়ার কাল সম্বন্ধে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও ক্রিয়ার কাল গুরুত্বপূর্ণ তাই ক্রিয়ার কাল কাকে বলে? ক্রিয়ার কাল কত প্রকার ও কি কি এবং ক্রিয়ার কালের ব্যবহার জানা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক। নিচের আর্টিকেলে ক্রিয়ার কাল কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি এবং ক্রিয়ার কাল ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ক্রিয়া সংগঠনের সময়কে ক্রিয়ার কাল বলে |
ক্রিয়ার কাল কাকে বলে
ক্রিয়া সংগঠনের সময়কে
ক্রিয়ার কাল বলে। যেমন : ১. আমরা বই পড়ি। (পড়া- বর্তমান কাল)। ক্রিয়ার কালকে ইংরেজিতে tense বলে।
ক্রিয়াপদ : ক্রিয়ামূল অর্থাৎ ধাতুর সঙ্গে কাল সময় ও পুরুষ জ্ঞাপক (ক্রিয়া) বিভক্তিযোগে ক্রিয়াপদ গঠিত
হয়। যেমন :
ক. পুরুষভেদে ক্রিয়ার
রূপের পার্থক্য দেখা যায়। যেমন : আমি যাই। তুমি যাও।
[সাধারণ ভবিষ্যৎ কালে নাম
পুরুষ ও মধ্যম পুরুষের ক্রিয়ার রূপ অভিন্ন।]
খ. বচনভেদে ক্রিয়ার রূপের
কোনো পার্থক্য হয় না। যেমন : আমি (বা আমরা) যাই। তুমি (বা তোমরা) যাও। আপনি (বা আপনারা
যান)। সে (বা তারা) যায়। তিনি (বা তাঁরা) যান।
গ. সাধারণ, সম্ভ্রমাত্মক,
তুচ্ছর্থকভেদে মধ্যম ও নাম পুরুষের ক্রিয়ার রূপের পার্থক্য হয়ে থাকে। (উত্তম পুরুষে
হয় না)। যেমন:
পুরুষ | সাধারণ | সম্ভ্রমাত্মক | তুচ্ছার্থক |
---|---|---|---|
উত্তম পুরুষ | আমি যাই | ---- | ----- |
মধ্যম পুরুষ | তুমি যাও। তোমরা যাও। |
আপনি যান, আপনারা যান |
তুই যা, তোরা যা। |
নাম পুরুষ | সে যায়, তারা যায় |
তিনি যান, তাঁরা যান |
এটা যায়, এগুলো যায় |
ক্রিয়া কাল কত প্রকার ও কি কি?
ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন
প্রকার। যথা: ১. বর্তমান কাল ২. অতীত কাল ৩. ভবিষ্য কাল
বর্তমান কাল কাকে বলে
ক্রিয়া যে রূপ এখন হচ্ছে,
হয় বা চিরকাল হয়ে থাকে, এমন বোঝায় তাকে বর্তমান কাল বলে। যেমন : আমি গান গাই
।
বর্তমান কাল কত প্রকার ও কি কি
বর্তমান কাল তিন প্রকার।
যথা :
ক. সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত
বর্তমান, খ. ঘটমান বর্তমান ও গ. পুরাঘটিত বর্তমান
ক১. সাধারণ বর্তমান কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া বর্তমানে সাধারণভাবে
ঘটে, তার কালকে সাধারণ বর্তমান কাল বলে । যেমন : আমি বাড়ি যাই।
সাধারণ বর্তমান কালের ব্যবহার
১. অনুমতি প্রার্থনায়
(ভবিষ্যৎ কালের অর্থে) : এখন তবে আসি ।
২. প্রাচীন লেখকের উদ্ধৃতি
দিতে (অতীত কালের অর্থে) : চণ্ডীদাস বলেন, 'সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।'
৩. বর্ণিত বিষয় প্রত্যক্ষীভূত
করতে (অতীতের স্থলে) : আমি দেখেছি, বাচ্চাটি রোজ রাতে কাঁদে।
৪. 'নেই', 'নাই' বা 'নি'
শব্দযোগে অতীত কালের ক্রিয়ায় : তিনি গতকাল হাটে যাননি।
ক২. নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল কাকে বলে
স্বাভাবিক বা অভ্যস্ততা
বোঝালে সাধারণ বর্তমান কালের ক্রিয়াকে নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল বলে। যেমন : সন্ধ্যায়
সূর্য অস্ত যায় (স্বাভাবিকতা)।
আমি রোজ সকালে বেড়াতে
যাই (অভ্যস্ততা)।
নিত্যবৃত্ত বর্তমান কালের ব্যবহার
১. স্থায়ী সত্য প্রকাশে
: চার আর তিনে সাত হয়।
২. ঐতিহাসিক বর্তমান :
অতীতের কোনো ঐতিহাসিক ঘটনায় যদি নিত্য বর্তমান কালের প্রয়োগ হয়, তাহলে তাকে
ঐতিহাসিক বর্তমান কাল বলে। যেমন : বাবরের মৃত্যুর পর হুমায়ুন দিলির সিংহাসনে আরোহণ
করেন।
৩. কাব্যের ভণিতায় :
মহাভারতের কথা অমৃত সমান
।
কাশীরাম দাস ভনে শুনে পুণ্যবান
।
৪. অনিশ্চয়তা প্রকাশে
: কে জানে দেশে আবার সুদিন আসবে কি না ।
৫. যদি, যখন, যেন- প্রভৃতি
শব্দের প্রয়োগে অতীত ও ভবিষ্যৎ কাল জ্ঞাপনের জন্য সাধারণ বর্তমান কালের ব্যবহার হয়।
যেমন :
ক. অতীত কালের অর্থে :
i. তিনি যখন ঘরে ঢোকেন,
তখন সবাই পালিয়ে গেলাম ।
ii. বিপদ যখন আসে, তখন
এমনি করেই আসে।
খ. ভবিষ্যৎ কালের অর্থে
:
i. সকল সদস্যই যেন সভায়
উপস্থিত থাকে।
ii. তিনি যদি আসেন, তবে
আমার কী হবে?
খ. ঘটমান বর্তমান কাল কাকে বলে
যে কাজ শেষ হয়নি, এখনও
চলছে, সে কাজ বোঝাবার জন্য ঘটমান বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন : নীরা বই পড়ছে।
খ. ঘটমান বর্তমান কালের ব্যবহার
১. বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তিতে
ঘটমান বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যথা : বক্তা বললেন, “শত্রুর অত্যাচারে দেশ আজ বিপন্ন, ধন-সম্পদ লুণ্ঠিত হচ্ছে, দিকে দিকে
আগুন জ্বলছে
২. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অর্থে
চিন্তা করো না, কালই আসছি।
৩. ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অর্থে
ঘটমান বর্তমান কাল হয়। উদাহরণ- লোকটি অনবরত ডাকছে, তবু কেউ তার কাছে ছুটে এলো না।
- আমরা আগামীকাল ঢাকা যাচ্ছি ('যাব' অর্থে)। দাঁড়াও, আসছি (‘এখনই আসব' অর্থে)।
গ. পুরাঘটিত বর্তমান কাল কাকে বলে
ক্রিয়া পূর্বে শেষ হলেও
তার ফল এখনও বর্তমান থাকলে, পুরাঘটিত বর্তমান কাল ব্যবহৃত হয়। যেমন : এবার আমি পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ হয়েছি। এতক্ষণ আমি অঙ্ক করেছি।
পুরাঘটিত বর্তমান কালের ব্যবহার
১. সাধারণ ভবিষ্যৎ সময়
বোঝাতে : সেও এসেছে (‘আসবে' অর্থে), আর আমারও যাওয়া হয়েছে ('যাব' অর্থে)।
২. অতীত সময় বোঝাতে :
i. দশ বছর হলো তার বাবা
মারা গেছেন। ii. গত মাসে তাকে দেখেছি।
২. অতীত কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া আগে ঘটে গেছে,
তার কালকে অতীত কাল বলে। যেমন : আমি গিয়েছিলাম। বৃষ্টি আরম্ভ হল। পুলিশ ডাকাতকে গুলি
করল। সে স্কুলে গেল। শুনলাম পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। এখন বুঝলাম, তুমি চাঁদা দেবে না
অতীত কাল কত প্রকার ও কি কি
অতীত কাল চার প্রকার। যথা
:
ক. সাধারণ অতীত, খ.
নিত্যবৃত্ত অতীত, গ. ঘটমান অতীত এবং ঘ. পুরাঘটিত অতীত
ক. সাধারণ অতীত কাল কাকে বলে
বর্তমান কালের পূর্বে যে
ক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তার সংঘটন কালই সাধারণ অতীত কাল । যেমন : প্রদীপ নিভে
গেল । শিকারি পাখিটিকে গুলি করল।
সাধারণ অতীত কালের ব্যবহার
১. পুরাঘটিত বর্তমান স্থলে
: ‘এক্ষণে জানিলাম, কুসুমে কীট আছে।'
২. বিশেষ ইচ্ছা অর্থে বর্তমান
কালের পরিবর্তে : তোমরা যা খুশি কর, আমি বিদায় হলাম ।
খ. নিত্যবৃত্ত অতীত কাকে বলে
অতীত কালে যে ক্রিয়া সাধারণত
অভ্যস্ততা অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাকে নিত্যবৃত্ত অতীত কাল বলে। যেমন : আমরা তখন রোজ সকালে
নদীর তীরে ভ্রমণ করতাম। তিনি প্রত্যহ অফিসে যেতেন। বাবা যদি আসতেন, তবে ভালোই হত।
নিত্যবৃত্ত অতীত কালের ব্যবহার
১. কামনা প্রকাশে : আজ
যদি সুমন আসত, কেমন মজা হতো।
২. অসম্ভব কল্পনায় :
i. “আমি যদি জন্ম নিতেম কালিদাসের কালে, দৈবে হতেম দশম রত্ন নবরত্নের মালে।”
ii. সাতাশ হতো যদি একশ
সাতাশ!
iii. শৈশবের দিনগুলি যদি
ফিরে আসত !
৩. সম্ভাবনা প্রকাশে :
তুমি যদি যেতে, তবে ভালই হতো।
গ. ঘটমান অতীত কাল কাকে বলে
অতীত কালে যে কাজ চলছিল
এবং যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, তখনও কাজটি সমাপ্ত হয়নি, ক্রিয়া সংঘটনের এরূপ ভাব
বোঝালে ক্রিয়ার ঘটমান অতীত কাল হয়। যেমন : কাল সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ছিল। আমরা তখন
বই পড়ছিলাম।
ঘ. পুরাঘটিত অতীত কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া অতীতের বহু
পূর্বেই সংঘটিত হয়ে গিয়েছে এবং যার পরে আরও কিছু ঘটনা ঘটে গেছে, তার কালকে পুরাঘটিত
অতীত কাল বলা হয়। যেমন : সেবার তাকে সুস্থই দেখেছিলাম। কাজটি কি তুমি করেছিলে?
পুরাঘটিত অতীত কালের ব্যবহার
১. অতীতে সংঘটিত ঘটনার
নিশ্চিত বর্ণনায় : পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে এক লক্ষ সৈন্য মারা গিয়েছিল। আমি সমিতিতে
সেদিন পাঁচ টাকা নগদ দিয়েছিলাম
২. অতীতে সংঘটিত ক্রিয়ার
পরম্পরা বোঝাতে শেষ ক্রিয়াপদে পুরাঘটিত অতীত কালের প্রয়োগ হয় । যেমন : বৃষ্টি শেষ
হওয়ার পূর্বেই আমরা বাড়ি পৌঁছেছিলাম ।
৩. ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে ঘটবে,
তার কালকে ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন : আমি যাব।
ভবিষ্যৎ কাল কত প্রকার ও কি কি
ভবিষ্যৎ কাল তিন প্রকার।
যথা : ক. সাধারণ ভবিষ্যৎ খ. ঘটমান ভবিষ্যৎ ও গ. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
ক. সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া এখনও ঘটেনি,
ভবিষ্যতে ঘটবে এমন বোঝালে, তাকে সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন আমি কি গাহিব গান (রজনীকান্ত
সেন) । শীঘ্রই বৃষ্টি আসবে ।
সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহার
১. আক্ষেপ প্রকাশে : আক্ষেপ
প্রকাশে অতীতের স্থলে ভবিষ্যৎ কাল ব্যবহার হয়। যেমন : কে জানত, আমার ভাগ্য এমন হবে?
সেদিন কে জানত যে ইউরোপে আবার মহাযুদ্ধের ভেরি বাজবে?
২. সন্দেহ প্রকাশে : অতীত
কালের ঘটনা সম্পর্কিত যে ক্রিয়াপদে সন্দেহের ভাব বর্তমান থাকে, তার বর্ণনায় সাধারণ
ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহার হয়। যেমন : ভাবলাম, তিনি এখন বাড়ি গিয়ে থাকবেন। তোমারা হয়তো
'বিশ্বনবি’ পড়ে থাকবে।
৩. অনুজ্ঞা ভাব প্রকাশে
: আপনি যাবেন।
খ. ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে
যে ক্রিয়া ভবিষ্যতে আরম্ভ
হয়ে চলতে থাকবে এমন বোঝায়, তাকে ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন : তিনি ক্লাসে পড়াতে
থাকবেন।
ঘটমান ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহার
১. নাম পুরুষ সাধারণ :
-ইতে থাকিবে/-তে থাকবে। (করিতে থাকিবে/করতে থাকবে)।
২. নাম পুরুষ ও মধ্যম পুরুষ
: -ইতে থাকিবেন/-তে থাকবেন। (করিতে থাকিবেন/করতে থাকবেন)। (সম্ভ্রমাত্মক)
৩. মধ্যম পুরুষ সাধারণ
: -ইতে থাকিবে/-তে থাকবে। (করিতে থাকিবে/করতে থাকবে)।
৪. মধ্যম পুরুষ তুচ্ছার্থক
: -ইতে থাকিবে/-তে থাকবি। (করিতে থাকিবি/করতে থাকবি)।
৫. উত্তম পুরুষ : -ইতে
থাকিব/তে থাকব। (করিতে থাকিব/করতে থাকব)।
গ. পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে
ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত
করে অতীতে বা বর্তমানে কোনো কাজ হয়েছে, এরূপ সন্দেহ বোঝালে ক্রিয়ার পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
কাল হয়। ক্রিয়ার রূপটি ভবিষ্যত্বাচক হলেও, অর্থে অতীতকে বোঝায় এবং সন্দেহের ভাবটি
বর্তমান থাকে। এজন্য এ কালকে সন্দিগ্ধ অতীত কালও বলে। যেমন : হয়তো কোথাও তোমাকে দেখে
থাকবে। তুমি ছাড়া আর কে গিয়ে থাকবে?
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কালের ক্রিয়ার রূপ
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কালের
অর্থ প্রকাশের জন্য মূল ধাতুর সঙ্গে অসমাপিকা ক্রিয়া বিভক্তি -ইয়া/এ যোগ করে এবং
যাক্ ও গম্ ধাতুর সঙ্গে সাধারণ ভবিষ্যতের ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত করে যৌগিক ক্রিয়াপদ
তৈরি হয়। যেমন : গিয়ে থাকব/যাইয়া থাকিব ।
পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কালের ব্যবহার
i. পুরাঘটিত ভবিষ্যতের
কালরূপ কখনো কখনো বর্তমান সময় নির্দেশ করে। যেমন : এতক্ষণে সে হয়তো পৌঁছে থাকবে।
ii. পুরাঘটিত ভবিষ্যতের
কালরূপ সম্ভাব্য অতীত কাল নির্দেশেও সহায়ক। যেমন : কাপটা সম্ভবত নাসিমাই ভেঙে থাকবে।
তিনিই সম্ভবত একথা বলে থাকবেন। এখানে একটু সংশয়ের ভাব আছে, কাজই পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ
কালের তাত্ত্বিক বৈধতা স্পষ্ট নয়।
সংশয়ের ভাব আছে, কাজেই
পুরাঘটিত ভবিষ্যতের তাত্ত্বিক বৈধতা স্পষ্ট নয়।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি ক্রিয়ার
কাল কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি বিস্তারিত তোমার সফলতায় অবদান রাখবে। তোমার
কোনো প্রশ্ন বা মন্তব্য থাকলে আমাদেরকে কমেন্টে বা ফেসবুকের জানাতে পারো। পড়াশোনা সম্পর্কে
বিভিন্ন আর্টিকেল পেতে আমাদের সঙ্গেই থাক। ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও
জানার সুযোগ করে দিও। ভুল-ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল। আল্লাহ
হাফেজ...
আরো পড়তে পারেন