সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম বাংলা ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত। সঠিক উপায়ে সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম না শেখানোর কারণে আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা সন্ধি বিচ্ছেদের মতো একটি সহজ বিষয়ে দুর্বল। সন্ধি বিচ্ছেদে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার মূল কারণ আমাদের শেখানো পদ্ধতি সঠিক নয়। কারণ আমাদের শেখানো হয় এক পদ্ধতিতে আর পরীক্ষায় আসে ভিন্ন পদ্ধতিতে। আমরা এ আর্টিকেলে সঠিক পদ্ধতিতে সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম শেখানোর চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হলাম সেটা না হয় আমাদের শিক্ষার্থীদের উপরেই ছেড়ে দেওয়া গেল। আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে শিক্ষার্থীরা সহজেই সন্ধি বিচ্ছেদ করতে পারবে।
সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম |
সন্ধি কাকে বলে?
পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ধ্বনির মিলনের ফলে যদি এক ধ্বনি সৃষ্টি হয় তবে তাকে ধ্বনি বলে।
সন্ধি প্রধানত দুই প্রকার
১. বাংলা সন্ধি ২. তৎসম ধ্বনি
বাংলা সন্ধি দুই প্রকার: ১. স্বরসন্ধি ২. ব্যঞ্জন ধ্বনি
তৎসম ধ্বনি তিন প্রকার: ১. স্বরসন্ধি ২. ব্যঞ্জন ধ্বনি ৩. বিসর্গসন্ধি
তাহলে বলা যায় বাংলা ভাষায় সন্ধি মোট তিন প্রকার : ১. স্বরসন্ধি ২. ব্যঞ্জন ধ্বনি ৩. বিসর্গসন্ধি
সন্ধির প্রকারভেদ |
স্বরসন্ধি কাকে বলে?
স্বরধ্বনির সাথে স্বরধ্বনির মিলনকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন: নবান্ন = নব + অন্ন
ব্যঞ্জন সন্ধি কাকে বলে?
ব্যঞ্জনধ্বনির সাথে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। যেমন: কাঁচকলা = কাঁচা + কলা, ছোড়দা = ছোট + দা
বিসর্গসন্ধি কাকে বলে?
বিসর্গ ( ঃ) এর সাথে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন: অন্তর্গত = অন্তঃ + গত
স্বর সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম
১. শব্দের মাঝখানে য - ফলা (্য) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটিতে ই/ঈ কার হয়। যেমন:
অত্যান্ত = অতি + অন্ত
ইত্যাদি = ইতি + আদি
অত্যুক্তি = অতি + উক্তি
প্রত্যেক = প্রতি + এক
নদ্যম্বু = নদী + অম্বু
মস্যধার = মসী + আধার
প্রত্যূষ = প্রতি + ঊষ
২. শব্দের মাঝখানে ব - ফলা থাকলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে উ/ঊ করা হয়। যেমন:
স্বল্প = সু + অল্প
স্বাগত = সু + আগত
তন্বী = তনু + ঈ
অন্বেষণ = অনু + এষণ
অন্বিত = অনু + ইত
অন্বয় = আনু + অয়
মন্বন্তর = মনু + অন্তর
পশ্বাচার = পশু + আচার
পশ্বধম = পশু + অধম
৩. শব্দের মাঝখানে অয়্ উচ্চারিত হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে এ - কার (ে) হয়। যেমন:
শয়ন = শে + অন
নয়ন = নে + অন
৪. শব্দের মাঝখানে আয়্ উচ্চারিত হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে ঐ - কার (ৈ) হয়। যেমন:
নায়ক = নৈ + অক
গায়ক = গৈ + অক
৫. শব্দের মাঝখানে অব্ উচ্চারিত হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে ও - কার (ো) হয়। যেমন:
পবন = পো + অন
লবণ = লো + অন
গবাদি = গো + আদি
গবেষণা = গো + এষণা
পবিত্র = পো + ইত্র
৬. শব্দের মাঝখানে আব্ উচ্চারিত হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে ঔ - কার (ৌ) হয়। যেমন:
পাবক = পৌ + অক
ভাবুক = ভৌ + উক
নাবিক = নৌ + ইক
৭. শব্দের মাঝখানে অর (রেফ)/ আর হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ঋ হয়। যেমন:
দেবর্ষি = দেব + ঋষি
শীতার্থ = শীত + ঋত
ক্ষুধার্ত = ক্ষুধা + ঋত
মহর্ষি = মহা + ঋষি
রাজর্ষি = রাজ + ঋষি
অধমর্ণ = অধম + ঋণ
ভয়ার্ত = ভয় + ঋত
৮. শব্দের মাঝখানে আ - কার (া) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে অ/আ হয়। যেমন:
নরাধম = নর + অধম
হিমালয় = হিম + আলয়
যথার্থ = যথা + অর্থ
রত্নাকর = রত্ন + আকর
৯. শব্দের মাঝখানে ঈ - কার (ী) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ই/ঈ হয়। যেমন:
অতীত = অতি + ইত
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা
সতীন্দ্র = সতী + ঈন্দ্র
১০. শব্দের মাঝখানে ঊ - কার (ূ) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে উ/ঊ হয়। যেমন:
মরূদ্যান = মরু + উদ্যান
বহূর্ধ্ব = বহু + ঊর্ধ্ব
বধূৎসব = বধু + উৎসব
১১. শব্দের মাঝখানে এ - কার (ে) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ই/ঈ হয়। যেমন:
শুভেচ্ছা = শুভ + ইচ্ছা
যথেষ্ট = যথা + ইষ্ট
পরমেশ্বর = পরম + ঈশ্বর
নরেন্দ্র = নর + ঈন্দ্র
১২. শব্দের মাঝখানে ঐ - কার (ৈ) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে এ/ঐ হয়। যেমন:
জনৈক = জন + এক
সদৈব = সদ + এব
মতৈক্য = মত + ঐক্য
মহৈশ্বর্য = মহা + ঐশ্বর্য
১৩. শব্দের মাঝখানে ও - কার (ো) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে উ/ঊ হয়। যেমন:
সূর্যোদয় = সূর্য + উদয়
যথোচিত = যথা + উচিত
মহোৎসব = মহা + উৎসব
গৃহোর্ধ্ব = গৃহ + ঊর্ধ্ব
গঙ্গোর্মি = গঙ্গা + ঊর্মি
১৪. শব্দের মাঝখানে ঔ - কার (ৌ) হলে সন্ধি বিচ্ছেদের দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ও/ঔ হয়। যেমন:
বনৌষধি = বন + ওষধি
মহৌষধি = মহা + ওষধি
পরমৌষধি = পরম + ঔষধি
মহৌষধ = মহা + ঔষধ
স্বর সন্ধি বিচ্ছেদ তালিকা আকারে দেখানো হলো:
সন্ধি | বিচ্ছেদ | উদাহরণ |
---|---|---|
১. য - ফলা হলে | প্রথম শব্দের শেষে ই/ঈ কার হয় | ইত্যাদি = ইতি + আদি |
২. ব - ফলা | প্রথম শব্দটির শেষে উ/ঊ কার হয় | স্বাগত = সু + আগত |
৩. অয়্ উচ্চারিত হলে | প্রথম শব্দটির শেষে এ - কার হয় | নয়ন = নে + অন |
৪. আয়্ উচ্চারিত হলে | প্রথম শব্দটির শেষে ঐ - কার হয় | নায়ক = নৈ + অক |
৫. অব্ উচ্চারিত হলে | প্রথম শব্দটির শেষে ও - কার হয় | লবণ = লো + অন |
৬. আব্ উচ্চারিত হলে | প্রথম শব্দটির শেষে ঔ - কার হয় | ভাবুক = ভৌ + উক |
৭. অর (রেফ)/ আর হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ঋ | শীতার্থ = শীত + ঋত |
৮. আ - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে অ/আ | নরাধম = নর + অধম হিমালয় = হিম + আলয় |
৯. ঈ - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ই/ঈ | অতীত = অতি + ইত পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা |
১০. ঊ - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে উ/ঊ হয় | মরূদ্যান = মরু + উদ্যান বহূর্ধ্ব = বহু + ঊর্ধ্ব |
১১. এ - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ই/ঈ হয় | যথেষ্ট = যথা + ইষ্ট পরমেশ্বর = পরম + ঈশ্বর |
১২. ঐ - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে এ/ঐ হয় | জনৈক = জন + এক মতৈক্য = মত + ঐক্য |
১৩. ও - কার হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে উ/ঊ হয় | মহোৎসব = মহা + উৎসব গৃহোর্ধ্ব = গৃহ + ঊর্ধ্ব |
১৪. ঔ - কার (ৌ) হলে | দ্বিতীয় শব্দটির শুরুতে ও/ঔ | মহৌষধি = মহা + ওষধি পরমৌষধি = পরম + ঔষধি |
আরো পড়তে পারেন
ব্যঞ্জন সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম
১. শব্দের মাঝখানে ঙ, ঞ, ন, ণ, ং হলে সন্ধি বিচ্ছেদের প্রথম শব্দটির শেষে ম হয় । যেমন:
শঙ্ক = শম + ক
সন্তাপ = সম + তাপ
সংযম = সম + যম
সংসার = সম + সার
সংগীত = সম + গীত
সংখ্যা = সম + খ্যা
সঞ্চয় = সম + চয়
সন্তাপ = সম + তাপ
সন্ধান = সম + ধান
সন্দর্শন = সম + দর্শন
২. শব্দের মাঝখানে ষ্ট থাকলে সন্ধি বিচ্ছেদে দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ত এবং ষ্ঠ থাকলে সন্ধি বিচ্ছেদে থ হয়। যেমন:
বৃষ্টি = বৃষ + তি
কৃষ্টি = কৃষ + তি
ষষ্ঠ = ষষ + থ
৩. শব্দের মাঝখানে গ, জ, ড, দ, ব হলে সন্ধি বিচ্ছেদের সময় যথাক্রমে ক, চ্, ট্, ত্, প্ হয়। অর্থ্যাৎ বর্গের তৃতীয় বর্ণটি হলে সন্ধি বিচ্ছেদের সময় বর্গের প্রথম বর্ণটি হয়। যেমন:
উদ্যাম = উৎ + যম
দিগন্ত = দিক্ + আন্ত
নিজস্ব = নিচ্ + অস্ব
ষড়যন্ত্র = ষট্ + যন্ত্র
তদন্ত = তত্ + অন্ত
সুবন্ত = সুপ্ + অন্ত
বাগদান = বাক + দান
উদঘাটন = উৎ + ঘাটন
উদ্যোগ = উৎ + যোগ
দিগ্বিজয় = দিক + বিজয়
৪. চ্চ, জ্জ, ড্ড, ল্ল, এরকম করে যুক্তবর্ণ হলে প্রথম চ, জ, ড, ল এর পরিবর্তে ত/দ হবে। যেমন:
সচ্চিন্তা = সৎ + চিন্তা
সজ্জন = সৎ + জন
উড্ডীন = উৎ + ডীন
উল্লাস = উৎ + লাস
উৎচারণ = উৎ + চারণ
যাবজ্জীবন = যাবৎ + জীবন
উল্লেখ = উৎ + লেখ
৫. দ্ধ হলে প্রথম দ এর পরিবর্তে ত/দ হয় এবং দ্বিতীয় ধ এর পরিবর্তে হ হয়। যেমন:
উদ্ধার = উৎ + হার
পদ্ধতি = পদ + হতি
তদ্ধিত = তৎ + হিত
উদ্ধৃত = উৎ + হৃত
৬. চ্ছ হলে তিনটি বিষয়ের যে কোনো একটি ঘটে
- কোথাও প্রথম চ বিলুপ্ত হয়ে যায়।যেমন:
কথাচ্ছলে = কথা + ছলে
পরিচ্ছদ = পরি + ছদ
মুখচ্ছবি = মুখ + ছবি
বিচ্ছেদ = বি + ছেদ
বিচ্ছিন্ন = বি + ছিন্ন
প্রতিচ্ছবি = প্রতি + ছবি
অনুচ্ছেদ = অনু + ছেদ
- কোথাও প্রথম চ এর পরিবর্তে ত/দ হয়। যেমন:
বিপচ্ছায় = বিপদ + ছায়া
তচ্ছবি = তদ + ছবি
- কোথাও প্রথম চ এর পরিবর্তে ত এবং দ্বিতীয় ছ এর পরিবর্তে শ হয়। যেমন:
উচ্ছাস = উৎ + শ্বাস
উচ্ছৃঙ্খল = উৎ + শৃঙ্খল
চলচ্ছক্তি= চলৎ + শক্তি
ব্যঞ্জন সন্ধি বিচ্ছেদ তালিকা আকারে দেখানো হলো:
সন্ধি | বিচ্ছেদ | উদাহরণ |
---|---|---|
১. ঙ, ঞ, ন, ণ, ং হলে | প্রথম শব্দটির শেষে ম হয় | শঙ্ক = শম + ক সঞ্চয় = সম + চয় সন্তাপ = সম + তাপ সংখ্যা = সম + খ্যা |
২. ষ্ট / ষ্ঠ হলে | দ্বিতীয় শব্দের শুরুতে ত/থ হয় | কৃষ্টি = কৃষ + তি, ষষ্ঠ = ষষ + ঠ |
৩. গ, জ, ড, দ, ব হলে | যথাক্রমে ক, চ্, ট্, ত্, প্ হয় | উদ্যাম = উৎ + যম, দিগন্ত = দিক্ + আন্ত, নিজস্ব = নিচ্ + অস্ব, ষড়যন্ত্র = ষট্ + যন্ত্র, তদন্ত = তত্ + অন্ত, সুবন্ত = সুপ্ + অন্ত |
৪. চ্চ, জ্জ, ড্ড, ল্ল, এরকম করে যুক্তবর্ণ হলে | প্রথম চ, জ, ড, ল এর পরিবর্তে ত/দ হয় | সচ্চিন্তা = সৎ + চিন্তা, সজ্জন = সৎ + জন, উড্ডীন = উৎ + ডীন, উল্লাস = উৎ + লাস |
৫. দ্ধ হলে | প্রথম দ এর পরিবর্তে ত/দ হয় এবং দ্বিতীয় ধ এর পরিবর্তে হ হয় | উদ্ধার = উৎ + হার |
৬. চ্ছ হলে তিনটি বিষয়ের যে কোনো একটি ঘটে | ১. কোথাও প্রথম চ বিলুপ্ত হয়ে যায় ২. কোথাও প্রথম চ এর পরিবর্তে ত/দ হয় ৩. কোথাও প্রথম চ এর পরিবর্তে ত এবং দ্বিতীয় ছ এর পরিবর্তে শ হয় |
পরিচ্ছদ = পরি + ছদ উচ্ছেদ = উৎ + ছেদ, বিপচ্ছায় = বিপদ + ছায়া উচ্ছাস = উৎ + শ্বাস |
বিসর্গ সন্ধি বিচ্ছেদ নিয়ম
বিসর্গ ( ঃ) হলো র/স এর সংক্ষিপ্ত রূপ
১. শব্দের মাঝখানে স/শ/ষ/র/রেফ এবং ও কার (ো) হলে এগুলো বিলুপ্ত হয়ে বিসর্গ ( ঃ ) হয়। যেমন:
মনোহর = মনঃ + হর
নিরাকার = নিঃ + আকার
অন্তর্ধান = অন্তঃ + ধান
নিশ্চয় = নিঃ + চয়
পরিষ্কার = পরিঃ + কার
পুরুস্কার = পুরুঃ + কার
পদস্খলন = পদঃ + খলন
ততোধিক = ততঃ + অধিক
তবে বিসর্গ সন্ধির কিছু ব্যাতিক্রম আছে। যেমন:
নীরব = নিঃ + রব
নীরস = নিঃ +রস
নীরক্ত = নিঃ + রক্ত
নীরোগ = নিঃ + রোগ
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
নিপাতনে সিদ্ধ অর্থ কোনো নিয়ম মানে না এমন। কিছু সন্ধি কোনো নিয়ম না মেনে গঠিত হয়, যেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে। নিপাতনে সিদ্ধ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সন্ধি মনে রাখার জন্য নিচের গল্পটি মনে রাখুন। এগল্পে দেওয়া বোল্ট অক্ষরগুলো নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ।
১. তস্কর ও মনীষা পরস্পর একাদ্বশ শ্রেণিতে পড়ে। তাদের বয়স ষোড়শ। বৃহস্পতিবার তারা বিয়ের উদ্দেশ্যে গোষ্পদ চলে যায়। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো তাদের বাবা মা পতঞ্জলি ও বনস্পতি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।
২. ভাস্কর অহর্নিশি অহরহ বাচস্পতি চাল খায়।
আমাদের শেষ কথা
আশা করি আর্টিকেলটির মাধ্যমে সন্ধি বিচ্ছেদের সহজ নিয়মগুলো আপনাদের উপকারে আসবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবে । আর কোনো প্রশ্ন জানার ইচ্ছা হলে আমাদেরকে প্রশ্ন করতে পারেন । আমরা চেষ্টা করবো যত দ্রুত সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে ।
আরো পড়তে পারেন